বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দীপের (RG Kar-Sandip Ghosh) কীর্তি যেন প্যান্ডোরার বাক্স! আরজিকর (RG Kar) হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার (Doctor Rape and Murder Case) ইতিমধ্যেই সিবিআই এর ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh former principal of RG Kar)। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বারংবার তলব করা হচ্ছে তাকে। এদিকে যত সময় গড়াচ্ছে সন্দীপের নামে উঠে আসছে ভয়াবহ সব অভিযোগ।
লাশ নিয়েও ব্যবসা করতেন সন্দীপ? (RG Kar-Sandip Ghosh)
জাল ওষুধ, টাকার বিনিময়ে মেডিক্যালে সিট সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি এবার হাসপাতালের বেওয়ারিশ লাশ বেচার মতো ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। কেবল দেশেই নয় সন্দীপের এই পাচারচক্রের জাল বিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশেও! ঠিক এমনই হাড়হিম করা দাবি তুললেন আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সব অভিযোগ তুলেছেন আখতার আলি। আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষর ‘মুখোশ’ খুলে দিয়ে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে বেওয়ারিশ লাশ নিয়ে ব্যবসা করতেন এই সন্দীপ ঘোষ।” সন্দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
এখানেই থেমে থাকেননি আখতার। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্র্য অর্থাৎ বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্টও বিক্রি করতেন সন্দীপ! এ দেশের মধ্যেই নয়। সন্দীপের এই দুর্নীতির কারবার চলত ওপার বাংলাতেও। নিজের অতিরিক্ত নিরাপত্তরক্ষীদের কাছে চিকিৎসা বর্জ্র্য বিক্রি করতেন তিনি! বাংলাদেশে পাচার হত বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্টও।’
প্রসঙ্গত, আখতার আলি ছিলে সন্দীপের (RG Kar-Sandip Ghosh) প্রাক্তন সহকর্মী। ২০২৩ সাল পর্যন্ত আর জি করেই কর্মরত ছিলেন আখতার। সেই সময় সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটিতেই ছিলাম আখতার।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল আরজি কর কাণ্ডের শুনানি! কেন এই সিদ্ধান্ত? জানাল কলকাতা হাইকোর্ট
সেই ঘটনার সূত্র ধরে আখতারের অভিযোগ, সেই সময় তদন্তে তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। স্বাস্থ্যভবনে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। তবে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। সন্দীপের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য। উলটে রিপোর্ট যেদিন জমা দেওয়া হয় সেই দিনই আখতার আলিকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়। এদিকে ইতিমধ্যেই সন্দীপের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরকারি নিষ্ক্রিয়তা এবং ইডি তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন আখতারবাবু।