‘একটি মেয়ের প্রাণ গিয়েছে, হাসবেন না’! সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্যের আইনজীবী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার আরজি কর মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। এদিন রাজ্যের আইনজীবীকে একের পর এক প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। কখনও অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা নিয়ে, কখনও আবার টাইমলাইন নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের (Supreme Court) প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কপিল সিব্বলকে। এসবের মাঝেই আবার তাঁর মুখে দেখা যায় স্মিত হাসি! যা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রাজ্যের আইনজীবীকে তুলোধোনা সলিসিটর জেনারেলের!

এদিনের শুনানিতে আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের আইনজীবী এবং সলিসিটর জেনারেলের মধ্যে কথার লড়াই শুরু হয়। তখনই স্মিত হাসি হেসে কিছু একটা বলতে চান বর্ষীয়ান আইনজীবী সিব্বল (Kapil Sibal)। তা দেখে কার্যত তেড়েফুঁড়ে ওঠেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।

   


রাজ্যের আইনজীবীর মুখে মুচকি হাসি দেখে ভরা আদালতে উষ্মা প্রকাশ করেন সলিসিটর জেনারেল। বলেন, ‘আপনি হাসছেন কেন? এটা কি কোনও হাসির বিষয়? একটি মেয়ের প্রাণ গিয়েছে। তাও অত্যন্ত অমানবিক এবং নৃশংসভাবে। অন্তত হাসবেন না’। ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভিডিও।

আরও পড়ুনঃ ছোট্ট ভুলেই সর্বনাশ! এগুলো মিস হলে মিলবে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা! রইল নয়া আপডেট

শুধু এই একটি ঘটনা নয়, আরজি কর মামলার (RG Kar Case) শুনানিতে একাধিকবার ‘নাস্তানাবুদ’ হতে হয়েছে আইনজীবী সিব্বলকে। সুপ্রিম কোর্ট এদিন বলে, রাজ্যের তরফ থেকে দেওয়া টাইমলাইন নিয়ে সংশয় রয়েছে। পোস্টমর্টেমের পর কীভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হল? এদিন তা জিজ্ঞেস করা হয়। শীর্ষ আদালতের ঝাঁঝালো প্রশ্নে এদিন কার্যত বেসামাল দেখায় রাজ্যের আইনজীবী।

Supreme Court Kapil Sibal smile Tushar Mehta

তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের এই ঘটনায় রাজ্য সরকার যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন, তা নিজের ৩০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেননি বলে জানান বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সিবিআইয়ের তরফ থেকে আবার ‘অপরাধের জায়গা’ বদল হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়। সেই দাবি খারিজ করে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, কিছু পরিবর্তন হয়নি। সবকিছুই ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর