‘১৪ দিনের মধ্যে..,’ ২০১৭, ২০২২ TET নিয়ে বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের, ভাগ্য ঝুলে কয়েক লক্ষের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য। এরই মাঝে ২০১৭ সালের পর ২০২২ সালের প্রাথমিকের টেটের (Primary TET) প্রশ্নপত্রে ভুরি ভুরি ভুল থাকার অভিযোগ সামনে আসে। যা নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এবার এই ইস্যুতে তিন সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ, আগামী ১৪ দিনের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

২০১৭, ২০২২ TET নিয়ে বিরাট নির্দেশ (Calcutta High Court)

২০১৭ এবং ২০২২ সালের টেট-ও প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার অভিযোগ উঠে মামলা হয়েছিল। মামলাকারী পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল ভুল প্রশ্নের কারণে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় প্রথমে ১৩টি প্রশ্নে ভুল আছে বলে অভিযোগ সামনে আসে। পরে সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ১৫ তারপর ২১। সবশেষে মোট ২৪টি ভুল প্রশ্ন ছিল বলে মামলা হয়। ১৫০টি প্রশ্নের মধ্যে ২৪টি প্রশ্ন কিভাবে ভুল হতে পারে এই নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছিল আদালত।

   

ওদিকে ২০১৭ সালে প্রায় ১২টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে দাবি করেন মামলাকারীরা। এই নিয়ে এবার এক্সপার্ট কমিটি গড়ার নির্দেশ হাইকোর্টের। প্রশ্নগুলি খতিয়ে দেখে সেসব আদৌ ভুল কি না, তার বিচার করবে এই বিশেষ কমিটি। কমিটিতে থাকবেন প্রাথমিক বোর্ডের এক জন সদস্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক একজন করে প্রতিনিধি। এবার যদি সত্যিই টেটের প্রশ্ন ভুল বলে প্রমাণিত হয়, তার জন্য নম্বর বাড়তে পারে অনেকেরই। যার ফলে কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন।

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: লক্ষীর ভাণ্ডার ফিরিয়ে নেবে রাজ্য সরকার? হঠাৎ কী হল! তৃণমূল নেতার পোস্টে তোলপাড়

এর আগে আদালতে জমা পড়া একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ দুই সালের জন্য দুটি পৃথক কমিটি গঠন করে এক্সপার্ট অপিনিয়ন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। ২০১৭-র টেট পরীক্ষার ভুল প্রশ্নপত্র যাচাই করে দেখতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্য চায় কলকাতা হাইকোর্ট। একই ভাবে ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার ভুল প্রশ্নপত্র যাচাই করে দেখতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দিয়ে বিশেষ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। তবে এই দুটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর