বিবাহিত অভিনেতার সঙ্গে প্রেম, অবিবাহিত থাকার জন্য অজয়কে দায়ি করলেন তাবু

তাবু (Tabu) ১৯৭১ সালের ৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন পাকিস্তানি অভিনেতা জামাল আলী হাশমি। তাবুর ছোটবেলাতেই তাঁর বাবা পরিবার ছেড়ে চলে যান তারপরে তাবুকে তাঁর মা রিজওয়ানা লালন-পালন করেন। তাবু (Tabu) কখনোই তাঁর নামের সঙ্গে তাঁর বাবার উপাধি ব্যবহার করেননি। টাবু একটি শো চলাকালীন বলেছিলেন যে ‘আমার বোন বাবার সঙ্গে অনেকবার দেখা করেছিল কিন্তু আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করিনি। আমি তাঁর সম্পর্কে কিছুই জানতে চাইনি। আমি আমার জীবনে এভাবেই সুখী।’

চার দশকের ক্যারিয়ারে তাবুর নাম জড়িয়েছিল অনেক অভিনেতার সঙ্গে। প্রেম ছবির শুটিং চলাকালীন সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে তাবুর নাম জড়িয়ে যায়। কথিত আছে যে শুটিংয়ের সময় দুজনেই একে অপরকে ডেট করছিলেন, তবে এই সম্পর্ক খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। এরপর তাবুর জীবনে প্রবেশ করেন পরিচালক-প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা। তাবু ও সাজিদ দীর্ঘদিনের বন্ধু ছিলেন। জিত চলচ্চিত্রের সময় দুজনের ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায় কিন্তু সাজিদ তাবুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে পারেনি কারণ তাঁর প্রথম স্ত্রী দিব্যা ভারতীর প্রতি তাঁর অনুভূতি ছিল।

   

Tabu

চার দশকের ক্যারিয়ারে তাবুর (Tabu) নাম জড়িয়েছিল অনেক অভিনেতার সঙ্গে

পিঙ্কভিলার খবরে বলা হয়েছে, তাবুর সম্পর্কের খবরে সবচেয়ে বড় নাম নাগার্জুনের। দক্ষিণের জনপ্রিয় সুপারস্টার নাগার্জুন আগেই বিয়ে করেছিলেন। যদিও তাবু একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক চেয়েছিলেন, নাগার্জুন ইতিমধ্যে দুবার বিয়ে করেছিলেন। কথিত আছে এই কারণেই দশ বছর পর তাঁদের দুজনের সম্পর্কের ইতি টানেন। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে, নাগার্জুন তাঁর সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে তাবুর নাম নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর মুখে হাসি ফোটে। দুজনেই দীর্ঘদিন ধরে ভালো বন্ধু বলেও জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত,নিজের বিয়ে না হওয়ার জন্য অজয়কে দায়ী করেন তাবু। অজয় দেবগন ও তাবু একই এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। তিনি প্রায়ই মজা করে উল্লেখ করেন যে অজয় দেবগন তার বিয়ে করতে না পারার জন্য দায়ী কারণ যখনই একটি ছেলে তার সঙ্গে কথা বলতে আসত, সে তাকে ধমক দিতে শুরু করতেন। তাঁরা দুজন দুজনকেই প্রায় ২৫ বছর ধরে চেনেন।

Pousali Chakraborty
Pousali Chakraborty

সংবাদের প্রতি টানে ব্রেকিংয়ের দুনিয়ায় পা দেওয়া পৌষালীর। দর্শন নিয়ে স্নাতকে এগোলেও পরবর্তী পথ চলাটা খবরের দিকে ঘুরে যায়। জীবনে আসে যাদবপুর থেকে পড়ার অল্প সময়ের সুযোগ। টলিপাড়ায় উঁকি দেওয়া থেকে বাইশ গজের পিচে কার ঝুলিতে কত রান, দুই দিকেই নজর ঘোরাতে ভালোবাসেন পৌষালী। পর্দার অনুষ্কা-মাঠের বিরাট দু'জনের খবর সমান তালে রাখার চেষ্টা করে। অবসর সময় কাটে নাচ, বই, ম্যাগাজিনে চোখ বুলিয়ে।

সম্পর্কিত খবর