মঙ্গলের পৃষ্ঠের নিচে লুকিয়ে থাকতে পারে গরু! কারণ সামনে এনে চাঞ্চল্যকর বয়ান দিলেন বিজ্ঞানী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মঙ্গল গ্রহে (Mars) প্রাণের সন্ধানের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে, মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠের পরিস্থিতি মানব জীবনের জন্য অত্যন্ত কঠোর এবং প্রতিকূল বলে মনে করা হয়। এর পাশাপাশি ওই গ্রহের দুর্বল বায়ুমণ্ডল, অত্যন্ত ঠান্ডা তাপমাত্রা এবং বিকিরণ সামগ্রিক পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। কিন্তু, তারপরও বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে এই গ্রহের পৃষ্ঠের নিচে প্রাণের চিহ্ন থাকতে পারে। পাশাপাশি, একাধিক বিশেষজ্ঞ এটাও বিশ্বাস করেন যে মঙ্গল গ্রহে (Mars) অতীতে অবশ্যই জীবন ছিল। সেই সময়ে ওই গ্রহের পরিস্থিতি হয়তো অনুকূল ছিল।

মঙ্গলের (Mars) পৃষ্ঠের নিচে লুকিয়ে থাকতে পারে গরু:

এদিকে, মঙ্গলের (Mars) পৃষ্ঠের নিচে মিথেন গ্যাসের উৎস কী হতে পারে সেটাই বিজ্ঞানীরা এখন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন হতে পারে। পাশাপাশি, এই অনুসন্ধান মঙ্গল গ্রহে জীবনের সম্ভাবনাও নির্দেশ করতে পারে। উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি একটি বৈজ্ঞানিক আলোচনার সময়, একটি অদ্ভুত দাবি সামনে এসেছে। যেখানে বলা হয়েছে, মঙ্গলের পৃষ্ঠের নিচে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতির কারণ হতে পারে ভূগর্ভস্থ ছোট গরু। কারণ, পৃথিবীতে মিথেন গ্যাস নির্গমনে গবাদি পশুর বিরাট অবদান রয়েছে এবং তা প্রমাণিতও হয়েছে।

   

Cows may be hiding under the surface of Mars.

ডেইলি স্টারের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী লিসা ক্যাল্টেনেগার এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অধ্যাপক ক্রিস লিন্টোটের মধ্যে মঙ্গলে মিথেনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সময়ে লিন্টট জানান যে, মঙ্গলে (Mars) কিউরিসিটি রোভার মিথেন আবিষ্কার করেছে এবং এই গ্যাস সম্ভবত ওই গ্রহের পৃষ্ঠের নিচ থেকে আসছে।

আরও পড়ুন: প্রথম চেষ্টাতেই বাজিমাত! মাত্র ২২ বছর বয়সেই IAS অফিসার হলেন চন্দ্রজ্যোতি, গড়লেন নজির

যখন ক্যাল্টেনেগার জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে মঙ্গলে, (Mars) মিথেনের উৎস কি ভূগর্ভস্থ গরু হতে পারে? তখন লিন্টট উত্তর দিয়েছিলেন যে মঙ্গলের পৃষ্ঠের নিচে “ছোট গরু” লুকিয়ে থাকতে পারে। যদিও, লিন্টট এই মন্তব্যটি একটি কৌতুকের সুরে করেছেন। অর্থাৎ, এটি কোনও গুরুতর বৈজ্ঞানিক দাবি নয়।

আরও পড়ুন: এবার আরও আরামদায়ক হবে ট্রেন সফর! প্রতিটি ক্ষেত্রে নজর রাখবে AI, সমস্যা হলেই মিলবে সমাধান

এদিকে, লিন্টট এটাও স্বীকার করেছেন যে, মঙ্গলে (Mars) মিথেনের অন্যান্য সম্ভাব্য উৎস থাকতে পারে। যেমন ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া, তাপ বা রাসায়নিক বিক্রিয়া। এমতাবস্থায়, ওই গ্রহে জীবনের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তা জানার জন্য আরও সুনির্দিষ্ট গবেষণা প্রয়োজন। তবে, এখান থেকে এটা স্পষ্ট হল যে বিজ্ঞানের গবেষণায় কখনও কখনও হাস্যরসেরও স্থান থাকে। কিন্তু, বৈজ্ঞানিক গবেষণা সবসময় দৃঢ় প্রমাণ এবং তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে থাকে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর