‘নিজেদের মানসিকতা বদলান’! হাইকোর্টের তোপের মুখে রাজ্য, তুলোধোনা প্রধান বিচারপতির

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘কোনও নির্দেশই সাহায্য করতে পারে না, যদি না কিছু করার ইচ্ছা থাকে’! বৃহস্পতিবার এক মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন ফের একবার উচ্চ আদালতের রোষের মুখে পড়ল রাজ্য। উষ্মা প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম।

  • হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তোপের মুখে রাজ্য!

বেআইনি পার্কিং (Illegal Parking) নিয়ে সঞ্জীব সিনহা চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। বিধাননগরের একটি অবৈধ পারকিং নিয়ে এই মামলা করা হয়। আজ সেই মামলার শুনানিতেই উষ্মা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। বলেন, ‘ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। দেখতে হবে এই ইচ্ছেটা কোন ধরণের দেখতে হবে। অফিশিয়াল নাকি রাজনৈতিক?’

   
  • বেআইনি পার্কিং মামলায় কী বলল হাইকোর্ট?

সঞ্জীব নামের ওই মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, বিধাননগরে অবৈধ পার্কিং চলছে। পার্কিংয়ের জন্য যারা টাকা নিচ্ছেন তাঁদের পরিচয়পত্র থাকতে হবে। এই মামলার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘পার্কিংয়ের এই সমস্যা একটা জায়গার নয়। রাজ্যের সর্বত্র একই অসুবিধা। পুরসভার যদি সদিচ্ছা না থাকে তাহলে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। ফ্রি পার্কিং এবং নো পার্কিং নোটিফাই করা জরুরি। কিন্তু পুরসভা নিজেই যদি সেটা না মানে, তাহলে বিজ্ঞপ্তির কোনও গুরুত্বই থাকে না’।

আরও পড়ুনঃ মমতার বিরুদ্ধে FIR! একাধিক ধারায় মামলা, এবার চরম বিপাকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী?

এরপর জাস্টিস শিবজ্ঞানমের (Justice TS Sivagnanam) কড়া নির্দেশ, ‘জনগণের ভোগান্তি না বাড়িয়ে এগুলো করুন’। একইসঙ্গে বিধাননগর কমিশনারকে তিনি বলেন, ‘অবৈধ পার্কিং নিয়ে তাড়াতাড়ি টেন্ডারের কাজ সম্পন্ন করবেন। হোর্ডিং ইত্যাদি বিষয়ে ইনফরমেশন পোর্টালে দিতে হবে’।

পাল্টা রাজ্যের (West Bengal) তরফ থেকে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হয়েছে। মামলাকারীর যদি কোনও অভিযোগ থাকে তিনি তাহলে জানাতে পারেন। জবাবে হাইকোর্ট বলে, ‘আপনারা কাজ করুন। আপনার চেয়ারম্যান নির্বাচিত তিনি সব রকম সুবিধা পাবেন, আর সাধারণ মানুষকে আসতে হবে আদালতে?’

Calcutta High Court

বেআইনি পার্কিংয়ের এই মামলার শুনানিতে পুরনো বাস চালানো নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতি বলেন, যেসব বাস বাতিল করে দেওয়া উচিত, সেগুলো চালানো হচ্ছে। সেটা বাসের ড্রাইভার, কন্ডাক্টরের পাশাপাশি যাত্রীদের জন্যেও বিপজ্জনক। জাস্টিস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘কোথায় পরিবর্তন হচ্ছে? নিজেদের মানসিকতা বদলান। বাসের ভাড়া কবে রিভাইস করা হয়েছে? প্রায় ২০ বছর আগে? খরচ বাঁচানোর জন্য বাস মালিকরা কেরোসিন অথবা বাজে তেলের ব্যবহার করেন। কবে বদল হবে?’

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর