সন্দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তদন্ত করতেন নিজেই! CBI যা জানাল … তুমুল শোরগোল রাজ্যে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টেন্ডার দুর্নীতি থেকে মরদেহ পাচার, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে একাধিক। সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) জমানায় হাসপাতাল কার্যত দুর্নীতির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ। সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এরপরেই সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

  • সন্দীপের (Sandip Ghosh) নয়া ‘কীর্তি’ ফাঁস করল সিবিআই!

গ্রেফতারির আগে টানা ১৫ দিন সিবিআই জেরার মুখে পড়েছিলেন সন্দীপ। মাঝে দু’দিনের ‘বিরতি’র পর সোমবার ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। সেদিন বিকেলেই তাঁকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী সংস্থা। গতকাল এই চিকিৎসককে আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখানেই একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেছে সিবিআই (CBI)।

   
  • নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে খোদ সন্দীপ!

আরজি কর ঘটনার (RG Kar Case) তদন্তভার হাতে পেতেই প্রাক্তন অধ্যক্ষের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। এক ঘণ্টার ওপর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার পর বাড়ির ভেতর প্রবেশ করেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চিরুনি তল্লাশি চালানো হয় সন্দীপের বাড়িতে। বেরনোর সময় দেখা যায়, পোঁটলা বেঁধে নথি নিয়ে বেরোচ্ছেন আধিকারিকরা। তল্লাশি চালিয়ে গোয়েন্দারা কী নথি পেয়েছিলেন জানেন?

আরও পড়ুনঃ ‘বৃহস্পতিবার…’! বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ চেয়ে হাইকোর্টে মামলা, বিরাট নির্দেশ প্রধান বিচারপতির

সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ জমা পড়ত, সেই অভিযোগপত্রগুলির অরিজিনাল কপি উদ্ধার হয়েছে তাঁর বাড়ি থেকে। যে সকল নথি হাসপাতালে থাকার কথা, সেগুলি প্রাক্তন অধ্যক্ষের বাড়িতে কী করছে? গোয়েন্দাদের অনুমান, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত আটকানোর জন্য অভিযোগের কপি তিনি বাড়িতে লুকিয়ে রেখে দিতেন।

Sandip Ghosh sent to 8 day CBI custody for financial misconduct

শুধু তাই নয়, সন্দীপের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এনকোয়ারি রিপোর্টের কপিও পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই মনে করছে, নিজের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা পড়া থেকেও আটকে দিতেন সন্দীপ (Sandip Ghosh)। সোমবার গ্রেফতার করার পর মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। সেখানেই তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে এই সকল তথ্য তুলে ধরা হয় বলে খবর।

গতকাল বিচারক নির্দেশনামায় লেখেন, ‘কেস ডায়েরি খুঁটিয়ে, যত্ন সহকারে পড়ার পর বোঝা যাচ্ছে, এই কেস একটি বড় স্ক্যাম। কীভাবে এই অপরাধ সংগঠিত হয়েছে এবং এই দুর্নীতির মানি ট্রেল এজেন্সিকে খুঁজে বের করতে হবে’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর