সিরিয়ালের মতোই লড়াকু বাস্তব জীবনেও! ‘বেচারি ‘ তকমা নাপসন্দ আলোকপর্ণা পল্লবীর

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা (Pallavi Sharma)। ছোট পর্দার দর্শকদের কাছে কখনও তিনি জবা, আবার কখনও লড়াকু সাংবাদিক আলোকপর্ণা। এই মুহূর্তে জি বাংলার জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)-তে প্রধান নায়িকা পর্ণার (Parna) চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। এর আগেও স্টার জলসার আরও এক জনপ্রিয় মেগা ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকে জবার চরিত্রে অভিনয় করে বাংলা জোড়া খ্যাতি পেয়েছিলেন পল্লবী (Pallavi Sharma)।

পর্দার লড়াকু ‘আলোকপর্ণা’ পল্লবী (Pallavi Sharma) নিজেকে ‘বেচারি’ ভাবতে নারাজ

এত নামী অভিনেত্রী হলেও পল্লবীর (Pallavi Sharma) অভিনয় জীবনে রয়েছে মাত্র দু’টো সিরিয়াল। আর দু’টো সিরিয়ালই সুপারহিট। আভিনয় জীবনের মতোই বর্ণময় পল্লবীর ব্যক্তিগত জীবন-ও। ছোট থেকেই স্ট্রাগল করে করে বড় হয়েছেন পল্লবী। খুব অল্প বয়সেই হারিয়েছেন নিজের বাবা-মাকেও।আর আজ তিনি নিজের ক্ষমতাতেই এই কলকাতা শহরের বুকে বানিয়েছেন নিজস্ব বাড়ি গাড়ি। কিছুদিন আগেই জোশ টক বাংলায় এসে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী।

সেখানেই পল্লবী বলেছেন, ‘সবাই হয়তো আমার জীবনের গল্প শুনে মনে করেন যে মেয়েটা হয়তো খুব বেচারি, খুব কষ্টে দুঃখে আছে। কিন্তু আমি চাই না আমাকে কেউ বেচারি হিসাবে চিনুক বা জানুক বরং আমি চাই আমাকে সবাই যোদ্ধা হিসাবে চিনুক। আমার জীবনে কোনও কম্প্রোমাইজ নেই, কোনও শর্ত নেই, আমি খুব আনন্দে আছি।’

আরও পড়ুন : প্রস্থেটিক মেকআপে আরও ভয়ঙ্কর মহিষাসুর! চিনতে পারছেন কে এই অভিনেতা?

এরপরেই কারণ জানিয়ে পল্লবী বলেছেন তাঁর কাছে তাঁর একা থাকাটাই শক্তি। তাই সেটাকে কোনভাবেই নিজের দুর্বলতা ভাবতে নারাজ অভিনেত্রী। পল্লবীর কথায়,’আমি একা একাই সব জায়গায় যেতে পারি, একা সিনেমা যেতে পারি, একা দেশবিদেশ যেতে পারি। আমি নিজের সাথে নিজের সঙ্গটা খুব ভালোভাবে উপভোগ করতে পছন্দ করি। আমি সত্যিই খুব ভালো আছি।’

সেইসাথে পল্লবী জানিয়েছেন, ‘যারা আমার মতো একা থাকেন, তারা যদি ভাবেন এই সমাজে ট্যাগ দেওয়া হবে যে এই বয়সের পর বিয়ে করে নিতে হয়, বাচ্চা জন্ম দিতে হয় আর তার বাইরে গিয়ে কিছু করলে হয়তো সমাজে আপনাকে মেনে নেবে না কিন্তু আমি মনে করি এইসবের ঊর্ধে গিয়ে নিজের জন্য লড়াই করা উচিত।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর