খুলে গেল কপাল? গরু পাচার মামলায় বিরাট খবর, শোরগোল রাজ্যে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মানলায় বহুদিন জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তার কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। দুজনারই ঠিকানা ছিল দিল্লির তিহাড় জেল। তবে অবশেষে খুলল কপাল। গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) দীর্ঘ ১৫ মাস পর জেলমুক্তি। অবশেষে জামিন পেলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। এরই সাথে অনুব্রতড় জামিনের সম্ভাবনাও জোড়ালো হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

বুধবার সুকন্যার জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে দিল্লি হাই কোর্ট। এর আগেও একাধিকবার জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। কোনোবার সায় না মিললেও এবার জামিন মঞ্জুর। গরু পাচার মামলায় গত বছর এপ্রিল মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুকন্যা। গরু পাচার মামলায়, তার বাবা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর পর, ২ বার দিল্লিতে ইডি হাজিরা এড়ান সুকন্যা মণ্ডল। এরপর তৃতীয়বার ইডির ডাকে দিল্লি পৌঁছলে তদন্তকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে ইডি।

   

মেয়ের গ্রেফতারির পর সেই প্রসঙ্গে জেলবন্দি অনুব্রত বলেছিলেন, “মেয়েকে গ্রেফতার করা অন্যায়। ওটা খুব বাহাদুরির কাজ হয়নি।” প্রসঙ্গত ২০২২ সালের অগস্ট মাসে সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত। তারপর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন সুকন্যা। এরপর কেষ্ট গ্রেফতারির সাড়ে আট মাস পর গ্রেফতার হয়েছিলেন সুকন্যা।

ইডির দাবি ছিল, অনুব্রতর (Anubrata Mondal) বিশাল সম্পত্তি সম্পর্কে তার কাছে তথ্য রয়েছে। যদিও জেরায় সুকন্যা নাকি জানান, সম্পত্তি সংক্রান্ত সব তার বাবা ও তার তৎকালীন হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিই জানেন। গ্রেফতারির পর থেকেই দিল্লির তিহাড় জেলে ঠাঁই হয় সুকন্যার। এবারে ২০২৪ এ এসে পুজোর আগেই বাংলায় ফিরছেন অনুব্রত-কন্যা। জানা যাচ্ছে সব ঠিক থাকলে আজই জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন তিনি।

anubrata sukanya

আরও পড়ুন: হঠাৎ নবান্নে মমতা-ঋতাভরীর বৈঠক, ঠিক কী হল সেখানে? অবশেষে সামনে এল সত্যিটা

এদিকে সুকন্যার জামিনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই উচ্ছ্বাসিত বীরভূম জেলার তৃণমূল কর্মী-সর্মথকেরা। এখন তারা কেষ্টদা ফেরার অপেক্ষায়। কেষ্ট-কন্যা মুক্তিতে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, ”অত্যন্ত আনন্দিত। এটা আমাদের কাছে নিঃসন্দেহে স্বস্তির খবর। এখন আমরা আমরা কেষ্টদার মুক্তির অপেক্ষায়। আশা করছি খুব শীঘ্রই সেটা হবে।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর