চোখের সামনে দিয়ে হুঁশ করে চলে গেল ট্রেন! কটা স্টেশন ভ্যালিড থাকবে টিকিট?

বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই ইংরেজের হাত ধরে শুরু হয়েছিল ভারতীয় রেলের (Indian Railways) সফর। দীর্ঘদিনের এই যাত্রাপথে আমূল পরিবর্তন এসেছে রেল পরিবহন ব্যবস্থায়। পাল্টে গিয়েছে দেশের বৃহত্তম এই গণপরিবহন ব্যবস্থার খোলনলচে। ভারতীয় রেল (Indian Railways) নেটওয়ার্ক এশিয়ার বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক  বলে পরিচিত। কাছের হোক কিংবা দূরের যেকোনো সফরের জন্য আজও ভারতীয়রা চোখ বুঝে ভরসা করেন ভারতীয় রেলের (Indian Railways) উপর।

ভারতীয় রেলের (Indian Railways) অজানা নিয়ম

প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রী সফর করে থাকেন দূরপাল্লার ট্রেনে। যাত্রীদের সফর আরও বেশি আরামদায়ক এবং নিরাপদ করে তোলার জন্য প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন পরিষেবা আছে ভারতীয় রেল। তবে ভারতীয় রেল মানেই অজানা তথ্যের ভান্ডার। ভারতীয় রেলের এমন বহু অজানা তথ্য রয়েছে যা জানা নেই বহু মানুষের।

   

জানলে অবাক হবেন ভারতীয় রেলে রয়েছে এমনই একটি নিয়ম যার ফলে কেউ যদি নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে নাও পারেন তাহলে তার পরেও তার কাছে সুযোগ থাকে ওই ট্রেনে ওঠার। কিন্তু এই নিয়ম বৈধ থাকে নির্দিষ্ট স্টপেজ পর্যন্ত।

 আরও পড়ুন : অভিনয় থেকে দূরে! এই বয়সে এসে কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন ‘জন্মভূমির পিসিমা’ মিতা চ্যাটার্জী?

ভারতীয় রেল সূত্রে খবর, টিকিট কাটার পর যে স্টেশন থেকে যাত্রীর ট্রেনে ওঠার কথা সেই স্টেশন থেকে তিনি যদি ট্রেনে উঠতে না পারেন তাহলে হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। কোনো স্টপেজ থেকে ট্রেনে উঠতে না পারার অর্থ এই নয় যে তিনি আর ওই ট্রেনে উঠতে পারবেন না। ভারতীয় রেলের  নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে না পারলেও পরপর দুটি স্টপেজ থেকে ট্রেনে উঠতে পারবেন ওই যাত্রী।

Indian Railways

এখানে উদাহরণ দিয়ে বলা যেতে পারে, হয়তো কেউ টিকিট কেটেছেন হাওড়া স্টেশন থেকে। কিন্তু তিনি কোন কারণবশত ওই স্টেশন থেকে উঠতে পারেননি। তাহলে তার কাছে ওই স্টেশনের পরের দুটি স্টপেজ অর্থাৎ খড়গপুর এবং বর্ধমান থেকে ওই ট্রেনে ওঠার সুযোগ থাকবে। এক্ষেত্রে রেলের নিয়ম অমান্য করে টিটিই -ও যাত্রীর ওই সিট অন্য কাউকে দিতে পারবেন না। তবে দুটি স্টেশন পার করার পরেও যদি কোন যাত্রী এসে ওই সিটে না বসেন তাহলে টিটিই  ওই সিট অন্য যাত্রীকে দিতে পারেন।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর