বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিশাল আকারের একটি গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো (ISRO) নজর রাখছে এই গ্রহাণুটির উপর। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, এই গ্রহাণু আগামী কয়েক বছরের মধ্যে খুব কাছে এসে যেতে পারে পৃথিবীর। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণুর নাম দিয়েছেন অ্যাফোসিস।
বড় আশঙ্কা করছে ISRO
প্রাচীন মিশরীয় দেবতার নামে নামকরণ করা হয়েছে এই গ্রহাণুটির। যে গতিতে এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে তাতে বিজ্ঞানীদের ধারণা ২০২৯ সালের ১৩ এপ্রিল এটির সাথে পৃথিবীর দূরত্ব হবে সবথেকে কম। প্রসঙ্গত, বিজ্ঞানীরা ২০০৪ সালে প্রথম আবিষ্কার করেন এই গ্রহাণুটি। ISRO চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
ISRO (Indian Space Research Organisation) চেয়ারম্যান জানান, “এই ধরনের একটি বড় গ্রহাণু আছড়ে পড়লে তা মানব সভ্যতার অস্তিত্ব সঙ্কটের কারণ হতে পারে। এই উদ্বেগের বিষয়ে ইসরো যথেষ্ট অবগত এবং মহাকাশে বিভিন্ন গতিবিধির উপর আমাদের নজরদারি ও তার বিশ্লেষণের নেটওয়ার্ক ‘নেত্র’ সজাগ দৃষ্টি রাখছে। এই পরিস্থিতি ও আগামীর সম্ভব্য সব উদ্বেগজনক অবস্থা সামলাতে ভারত বাকি দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করবে।”
আরোও পড়ুন : সিবিআই পরিচয়ে ফোন, ডার্ক ওয়েবে ছবি ভাইরাল থেকে খুনের হুমকি দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা আদায় সঙ্গীতশিল্পীর থেকে
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ২০২৯ সালে এটি পৃথিবীর সব থেকে কাছে চলে আসতে পারে। তারপর ফের এই ঘটনা ঘটবে ২০৩৬ সালে। এই গ্রহাণুর প্রভাব কতটা পড়তে পারে তা নিয়ে এখন বিজ্ঞানীদের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন। তবে আপাতত অধিকাংশ বিজ্ঞানীদের ধারণা যে এই গ্রহাণুর সাথে পৃথিবীর সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম, এটি পৃথিবীর খুব কাছ থেকে ঘেঁষে বেরিয়ে যেতে পারে।
জানা গেছে , অ্যাফোসিস গ্রহাণুটির (Asteroid 99942) ব্যাস প্রায় ৩৪০-৪৫০ মিটার। ১৪০ মিটারের কোনো মহাজাগতিক বস্তু যদি পৃথিবীর গা ঘেঁষে যায় সেটিকে বিপদজনক হিসাবে গণ্য করা হয়। ইসরোর (Indian Space Research Organisation) ‘নেত্র’ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা এ কে অনিল কুমারের কথায়, যদি বড় আকারের গ্রহাণু পৃথিবীর গা ঘেঁষে যায় তাহলে সেটির বড় প্রভাব পড়তে পারে বিশ্বে।