বাংলাহান্ট ডেস্ক : লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে জটিলতার কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আন্দোলনরত চিকিৎসকদের (Junior Doctors) বৈঠক ভেস্তে যায় নবান্নে। এরপর নিজেদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্নায় বসেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা (Junior Doctors)। আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অনুরোধের পর জুনিয়র চিকিৎসকদের ৩৫ সদস্যের একটি দল কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছেন বৈঠকে যোগদান করতে।
ভেস্তে গেল জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) সাথে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বৈঠক
কিন্তু, সেখানেও একই ভাবে বাধা হয়ে দাঁড়ায় লাইভ স্ট্রিমিং ও ভিডিওগ্রাফির বিষয়টি। জানা গিয়েছে, কালীঘাটে পৌঁছে প্রথমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজি না হলে দু’তরফের ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের কথা বলা হয়। তাতেও রাজি না হলে ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের কপি চাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কোনভাবেই ইতিবাচক সাড়া পাননি জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors)।
ফলে, বাধ্য হয়ে এবারেও কালিঘাট থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয় জুনিয়র ডাক্তারদের। “মিটিং করতে গিয়ে ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হল”, বলেও দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের। মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি একে একে বেড়িয়ে যান সবাই। বলা বাহুল্য, এদিন অবশ্য স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। শুধু তাই নয়, জুনিয়র ডাক্তারদের বারবার অনুরোধ করেন ‘অন্তত এক কাপ চা খেয়ে যাও’। কিন্তু, আন্দোলনরত চিকিৎসকরা নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিলেন শুরু থেকেই।
আরোও পড়ুন : ভিসা জটিলতা অব্যাহত, বাংলাদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা! কপাল পুড়ল ঋতুপর্ণা-স্বস্তিকা সহ ২ নায়িকার
মমতা জানালেন, আন্দোলনকারীরা যে চিঠি দিয়েছিল তাতে সরাসরি সম্প্রচারের কথা ছিল না। মমতা আরও বলেন,’ যদি নাই আসো তাহলে চিঠি দিলে কেন? আমাতে অসম্মান করছ। আমি আগেও তিন দিন অপেক্ষা করেছি। রাজনীতি ভুলে যাও। মানুষের স্বার্থে এসো কথা বলি।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কালীঘাটে রওনা দেওয়ার আগেই অবশ্য আন্দোলনকারীরা বলেছিলেন, ‘কালীঘাটে ডেকে মাথায় হাত ভুলিয়ে, ভয় দেখিয়ে আন্দোলন তোলা যাবে না।’
এদিকে কালীঘাটে ঠিক কী কী ঘটেছে সেই বিষয়ে অবশ্য মুখ খুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কার্যত হতাশার সুরে তারা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের প্রতি সম্মান রেখেই তাযা ভিডিয়োগ্রাফি ছাড়াই মিনিটস দেওয়ার শর্তে রাজি হয়েছিলেন। এরপর তারা যখন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে চান, তখন আচমকাই স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বললেন, অনেক আর সম্ভব নয়। অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আলোচনায় বসতে রাজি নই। ফলে, শেষমেশ বানচাল হয়ে যায় সবকিছু।