বাংলাহান্ট ডেস্ক : চাকরির বাজারে যেভাবে প্রতিযোগিতা বাড়ছে তাতে ক্রমশ হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে দেশের যুবসমাজ। অনেকেই এই পরিস্থিতিতে ব্যবসা (Business) শুরু করার পরিকল্পনা করছেন। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এমন একটি বিজনেস আইডিয়া (Business Idea) আপনাদের দিতে চলেছি যেটি শুরু করলে উপার্জন করবেন দু’হাত ভরে।
ব্যবসাতেই (Business) হবে লক্ষ্মীলাভ
আজকাল চিংড়ি চাষ বেশ লাভজনক। গোটা বছর চিংড়ি চাষ করা যায়। খুব অল্প জায়গাতেই আপনারা শুরু করতে পারেন চিংড়ি চাষ। ভারতের বাজারে তো বটেই, বিদেশেও চাহিদা রয়েছে চিংড়ির। তাই অল্প পরিসরে এই ব্যবসা (Business) শুরু করে দেখতে পারেন লাভের মুখ। চিংড়ি চাষের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী এলাকার ঈষদ নোনা জল বেশ উপযুক্ত বলে মনে করা হয়।
নন্দকুমার, নন্দীগ্রাম, কাঁথি, চন্ডিপুর, রামনগর ও খেজুরি সহ বিস্তীর্ণ নদী তীরবর্তী এলাকায় চিংড়ি চাষ হয়ে থাকে। ভেনামি চিংড়ি (Whiteleg shrimp)চাষ বর্তমানে বেশ প্রসার লাভ করেছে পূর্ব মেদিনীপুর (East Midnapore) জেলা জুড়ে। চিংড়ির নতুন প্রজাতি ‘ভেনামি’র চাহিদা ক্রমাগত বিশ্ববাজারে বাড়ছে।
আরোও পড়ুন : জনপ্রিয় এই ইউটিউবারকে গ্রেফতারের ছক! হঠাৎ বাড়িতে পুলিশ! তবে কী মুখ বন্ধের চেষ্টা প্রশাসনের?
আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এটিকে সাদা সোনাও বলা হয়ে থাকে। অন্যান্য জাতির চিংড়ির থেকে ‘ভেনামি’র হেক্টর প্রতি উৎপাদন অনেকটাই বেশি। পাশাপাশি অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় এই চিংড়ির চাহিদা ও দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে আমেরিকা ও ইউরোপের বাজারে। হেক্টরপ্রতি ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার কেজি উৎপাদন হয়ে থাকে ভেনামি চিংড়ি।
অল্প জমিতে অধিক পরিমাণ উৎপাদন ও কম ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ায় এই চাষ অত্যন্ত লাভদায়ক। বিকল্প পেশা হিসেবে অনেকেই চিংড়ি চাষ লাভদায়ক বলে মনে করেন। মৎস্য দফতর তাই এলাকা ভিত্তিক বেকার যুবক-যুবতীদের চিংড়ি চাষের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এছাড়াও দেওয়া হয় প্রযুক্তিগত ও প্রয়োজনীয় সাহায্য।