বাংলাহান্ট ডেস্ক : সরকারের তরফে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে নগদ লেনদেনের সীমা। এই নির্দিষ্ট সীমা যদি আপনি অতিক্রান্ত করেন তাহলে আপনাকে নোটিশ পাঠাতে পারে আয়কর দপ্তর (Income Tax Department)। আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময় অবশ্যই আয়কর দপ্তরকে (Income Tax Department) জানাতে হয় এই ধরনের লেনদেনের কথা।
এমনকি নির্দিষ্ট করে দেওয়া সীমার উপর টাকা ডিপোজিট, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ, সম্পত্তি বা শেয়ার কেনাবেচার কথাও উল্লেখ করতে হয় আয়কর দপ্তরের কাছে। আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) দাখিল করার সময় অনেকেই এই ভুলটি করার ফলে বাতিল হয়ে যায় আইটিআর। তখন আয়কর দপ্তরের পক্ষ থেকে পাঠানো হয় নোটিশ।
Income Tax Department’র নির্দিষ্ট করে দেওয়া কিছু লেনদেন সীমা:
• ব্যাংক অ্যাকাউন্ট : একটি অর্থবর্ষে সেভিংস অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকার অধিক লেনদেন করা যায় না। কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে এই সীমা ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। একক লেনদেনের ক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকার বেশি তোলা বা জমা করা যায় না।
আরোও পড়ুন : বিচারের আশা সামনে রেখেই সম্পন্ন হল ফ্যাশন অ্যান্ড ফুড এক্সপো “এসো দেবকন্যা, পুজোর আগে দেদার কেনাকাটা
• ফিক্সড ডিপোজিট : সরকারের তরফে ফিক্সড ডিপোজিটে অর্থ বিনিয়োগের সীমা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া রয়েছে। যদি একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে ফিক্সড ডিপোজিট করেন তাহলেও সর্বোচ্চ সীমা ১০ লক্ষ টাকা। এই সীমা অতিক্রান্ত হলে আপনাকে আয়ের উৎস সম্পর্কে জানাতে হবে।
• সম্পত্তি কেনাবেচা : যদি কেউ ৩০ লক্ষ টাকার অধিক সম্পত্তি ক্রয় করেন তাহলেও জানাতে হবে আয়কর দপ্তরকে। সেই অর্থের উৎস সম্পর্কে উল্লেখ করতে হবে। শহর এলাকায় বর্তমানে সম্পত্তি কেনাবেচার উর্ধ্বসীমা ৫০ লক্ষ টাকা ও গ্রামীণ এলাকায় সীমা ২০ লক্ষ টাকা।