ভারতে নেই চাকরির অভাব! RBI সামনে আনল বড় পরিসংখ্যান, জানলে আপনিও হবেন খুশি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মোটা মাইনের চাকরির জন্য অনেকেই বিদেশ ছোটেন। যার মাধ্যমে বিদেশ ঘোরা যেমন হয়ে যায়, তেমনি মুঠো মুঠো টাকা রোজগারও হয়। তবে, ভারতেও যে চাকরির এতো এতো সুবিধা রয়েছে সেকথা কি কারোর জানা আছে? RBI (Reserve Bank Of India)-র তথ্য বলছে, ভারতে কর্মসংস্থানের অঢেল সুযোগ। এমনকি দিনের পর দিন চাকরির উৎসও তৈরি হচ্ছে। তথ্য অনুসারে, এখনই ভারতে কর্মরত মানুষের সংখ্যা ৬৪ কোটি। আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।

কি জানিয়েছে RBI (Reserve Bank Of India):

বিশ্বে জনসংখ্যার নিরিখে ভারত শীর্ষেই রয়েছে। প্রায় ১৪৩ কোটি মানুষ আমাদের দেশে বাস করে। অর্থাৎ বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ১৭.৭ শতাংশ মানুষের ভারতেই বসবাস। শুধু তাই নয়, সমীক্ষা বলছে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৯ শতাংশ শিশুও এই দেশে বাস করে। তবে আমাদের দেশে শিশুদের দিয়ে শ্রম করানো দণ্ডনীয় অপরাধ বলেই গণ্য করা হয়। বিশেষ করে ১৭ বছরের কম বয়সীদের দিয়ে কাজ করানো অপরাধ।

Reserve Bank Of India released there is no crisis in India.

এদিকে, ভারতে ১৮ বছরের কম বয়সীদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার মধ্যে ১৮.৬ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ২৬.৪১ কোটি। তবে এই সংখ্যা বাদ দিলে দেশে কর্মযোগ্য ব্যক্তি রয়েছে ১১৬ কোটি। এর মধ্যে ৬৪ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। অর্থাৎ দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ রোজগার করেন।

আরও পড়ুন: বিচারের আশা সামনে রেখেই সম্পন্ন হল ফ্যাশন অ্যান্ড ফুড এক্সপো “এসো দেবকন্যা, পুজোর আগে দেদার কেনাকাটা

প্রকাশিত তথ্য কি বলছে: RBI (Reserve Bank Of India) দ্বারা প্রকাশিত সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। এমনকি এই সময়ের মধ্যে, ৪.৬৭ কোটি কর্মসংস্থানের উৎসও তৈরি হয়েছে। সেই সূত্রে বর্তমানে রোজগার করছে এমন জনসংখ্যা ৬৪.৩ কোটি। গত অর্থবর্ষের তুলনায় রোজগারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.২ শতাংশ।

আরও পড়ুন: “ওদেরকে মজা নিতে দিন”, সাংবাদিকদের কাছে বড় প্রতিক্রিয়া রোহিতের, নিজেই দিলেন ব্যাখ্যা

আরও ৪ কোটি কর্মসংস্থানের উৎস তৈরি হবে: তবে কর্মসংস্থানের প্রসঙ্গে মোদী সরকার আগামী ৫ বছরে ৪.১ কোটি কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। এমনকি এর জন্য কেন্দ্র সরকার ২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করতেও তৈরি। শুধু তাই নয়, কর্মসংস্থান বাড়াতে সরকার ৫ টি প্রকল্পও চালু করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যুবক-যুবতীরে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং সাথে কর্মসংস্থানের উৎসও খুলে যাবে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর