বাংলাহান্ট ডেস্ক : আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ একাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই আবহেই কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের (Hospital) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনল মৃতার পরিবার।
দুর্নীতিতে নাম জড়াল আরেক হাসপাতালের (Hospital)
চোখে কালো ফ্রেমের চশমা, গালে বেশ কিছুদিনের না কাটা দাড়ি, হাতে একটি ব্যানার নিয়ে নিজের চাপা আর্তনাদ প্রকাশ করলেন এক মৃতার দাদা। এই ব্যক্তি গুরুতর অভিযোগ এনেছেন রেনেসাঁ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তির দাবি, তা র দিদি গত ১০ই ফেব্রুয়ারি রেনেসাঁ হাসপাতালে প্রয়াত হন। তবে হাসপাতাল (Hospital) কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অজুহাতে টাকা হাতিয়ে নেয় মৃতার পরিবারের তরফ থেকে।
চোখে জল নিয়ে মৃতার দাদার আর্তনাদ, ‘ওরা ডেড বডিরও ট্রিটমেন্ট করে!’ এই ব্যক্তি WBH & FW, WBMC এবং WBCERC- এর অশুভ আঁতাতের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, ‘রেনেসাঁ হাসপাতাল ১০ই ফেব্রুয়ারি ভোর তিনটা কুড়ি মিনিটে আমার বড়দিকে মৃত ঘোষণা করে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেডিকেল রেকর্ডসে দেখাচ্ছে যে তারা রোগীর মৃত্যুর পরেও তার শরীরে ইনজেকশন ও ওষুধ প্রয়োগ করেছে।
আরোও পড়ুন : ‘জীবনসাথী’র পর নতুন রূপে ফিরছেন ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের প্রধান নায়ক সায়ন
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন যে তার মৃতা দিদি মূক ও বধির ছিলেন। তিনি আরোও বলেন, ‘আমি এই সব কথা ক্লিনিক্যাল কমিশনের চিকিৎসকদের সামনে তুলে ধরি। তারপরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নো নেগ্লিজেন্স সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। তবে আমার কাছে চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত নথি ও রেকর্ড রয়েছে।’এছাড়াও আরো গুরুতর অভিযোগ এনে রোগীর পরিবারের দাবি, “২৮ শে জানুয়ারি আমার দিদিকে মেরে ফেলা হয়।”
আরোও পড়ুন : ‘অফিসের কাজের ফাঁকেই….’ এই উপায়েই এড়ানো যাবে ভয়ঙ্কর বিপদ! বিশেষ পরামর্শ পুতিনের মন্ত্রীর
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি একথাও বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে তার মৃতদেহ ভেন্টিলেটরে রাখা হয় ১৩ দিন। জানা যায় যে, ওই মূক ও বধির মহিলাকে ১০ই ফেব্রুয়ারি মৃত ঘোষণা করা হয় হাসপাতালের (Hospital) তরফে। পাশাপাশি বিস্ফোরক অভিযোগ করে মৃতার দাদা বলেন, “ডাক্তার রঞ্জন কুমার শ্রীবাস্তব আমাকে জেলে পাঠিয়েছে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে।” বুকে এক রাশ দুঃখ নিয়ে মৃতার দাদার বক্তব্য, হাসপাতাল ভেবেছিল মূক ও বধির দিদির মৃত্যু হলে আমার ঘাড় থেকে হয়ত বোঝা নামবে। মুখে কোনো কিছু বলবে না।
“মৃতদেহেরও ট্রিটমেন্ট হয়” বললেন এক নাগরিক
“মৃতদেহেরও ট্রিটমেন্ট হয়” বললেন এক নাগরিক
#rgkarcasenews
#kolkata
#rgkarcase
#justice
#kadombini
#kolkatadoctordeathnewsRG Kar Case News,
Kolkata,
RG Kar Case,
Justice,
Kadombini,
Kolkata Doctor Death News,Posted by Bangla Hunt on Friday, September 20, 2024
তার কথায়, “যদি তাই হত আমি তাহলে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারতাম। আপনি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে নিয়ে যেতাম না।” মৃতার দাদা এখন চাইছেন সুবিচার। তিনি বলছেন শুধু একটা সন্দীপ ঘোষ নয়, রঞ্জন কুমার শ্রীবাস্তবের মতো অসংখ্য সন্দীপ ঘোষ লুকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। রোগী পরিবারের প্রতি মোটেও সদার্থক ভূমিকা নেই ক্লিনিকাল কমিশনের। তবে হাসপাতালের (Hospital) তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।