কলমের হাসপাতাল! এমনটা আবার হয় নাকি? ৭৭ বছর ধরে কলকাতাতেই আছে এই ‘Pen Hospital’

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মানুষ, কুকুর কিংবা পশু হাসপাতালের সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। তবে পেনের জন্য হাসপাতালের কথা শুনেছেন কখনো? শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, আমাদের শহর কলকাতার (Kolkata) প্রাণ কেন্দ্রেই রয়েছে এমন পেন হাসপাতাল (Pen Hospital)। যুগের সাথে বদল এসেছে আমাদের জীবনে।

কলকাতায় (Kolkata) কলমের হাসপাতাল

এখন অনেকেই সমাজের স্টাইল সিম্বল মনে করেন লাখ লাখ টাকার দামি মোবাইল ফোনকে। তবে একটা সময় ছিল যখন অনেকের কাছে পেন বা কলম নামক বস্তুটি শুধু লেখার নয়, বরং স্টাইল এবং শখের একটি মাধ্যম ছিল। সেই পেনের যদি ‘অসুখ’ করে, তার চিকিৎসার জন্যই এই পেন হাসপাতাল। একটা সময় কলকাতার (Kolkata) অলিগলিতে ছিল এই ধরনের পেন হাসপাতাল।

আরোও পড়ুন : প্রেসার কুকারে রান্না বসালেই ভুড়ভুড় শব্দ! চাল-ডাল বেরিয়ে আসছে? রইলো সহজ টোটকা

তবে যুগের নিয়মে তার অধিকাংশই ঝাঁপ ফেলতে বাধ্য হয়েছে। তবে ধর্মতলার এই ছোট্ট পেন হাসপাতাল এখনো সগর্বে দাঁড়িয়ে রয়েছে নিজের ঐতিহ্য নিয়ে। পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে রোগীদের (পড়ুন পেনেদের (Pen))। ধর্মতলা মেট্রো ষ্টেশনের চার নম্বর গেট দিয়ে বেড়িয়ে ফুটপাথের বাঁ-দিকেই এই পেন হাসপাতাল।

Kolkata

এই হাসপাতালের বর্তমান ‘চিকিৎসক’ মহম্মদ ইমতিয়াজের দাদু সামসুদ্দিন ১৯৪৫ সালে চালু করেন এই পেন হাসপাতাল। ওয়াটারম্যান, শেফার্ড, পিয়ার কারদা, উইলসনের মতো রয়্যাল পেন সেই সময়ে অনেকেই কিনে আনতেন বিদেশ থেকে। সেই সব পেন সারানোর উদ্দেশ্যেই সামসুদ্দিন শুরু করেন এই হাসপাতাল।

আরোও পড়ুন : অহংকারে মটমট করছেন! মেয়েকে শিক্ষা দিতে গিয়ে নিজেই ধমক খেলেন রণবীরের দিদি

ইমতিয়াজ জানান, “আমাদের কাজ কালি-কলম বা নিব নিয়ে। এখন কালি-কলম দিয়ে লেখার চল উঠে গিয়েছে, বেশির ভাগই কলম এখন এক বার ব্যবহার করেই ফেলে দেয়। এখন কম্পিউটারের যুগ। কিছু মানুষ এখনও আছেন, যাঁরা কালি-কলমে লেখেন। তাঁরাই আসেন বিকল কলম সারাতে। কেউ আবার শৌখিনতার জন্যে পুরনো কলম কিনে নিয়ে যান।”

Kolkata

পেনের চিকিৎসা করতে করতেই ইমতিয়াজ বলেন, “বিদেশি পেন মানেই অনেক দামের। দশ বারো হাজার টাকা দামের পেন এখনও লোকেরা সারাই করতে নিয়ে আসে। পেনের নিব থেকে কালি ভরার ব্যবস্থা প্রতিটি পেনের আলাদা। সবসময় সব পেনের পার্টস সহজেই যে পাওয়া যায় তা নয়। সেই ক্ষেত্রে পুরনো পেনের টেকনোলজি বদলে দিলেই, পেনগুলো নতুন জীবন পায়, লেখকের মুখে হাসি ফোটে তাতেই আমার ভালো লাগে”।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর