বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভালোভাবে জীবনযাপনের জন্য আমরা সবসময় একটি ভালো চাকরির (Job) সন্ধান করি। এমনকি প্রত্যেক বাবা মাও চান সন্তানরা যেন ভালো চাকরি করে। কিন্তু এই চাকরি করতে গিয়েই যদি কারোর জীবনটাই চলে যায় তার চেয়ে খারাপ আর কিছু হতে পারে না। বিষয়টি শুনে কিছুটা অবাক হলেও এমনটাই দাবি জানালেন এক মা। এমনকি এই নিয়ে অফিসে চিঠিও লিখেছেন তিনি। আর সেই খবরই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তোলপাড় করে ফেলেছে। সেইসাথে কর্পোরেট হাউসের আসল ছবিও সবার কাছে উপস্থাপিত হয়েছে।
চাকরি (Job) করতে গিয়ে মৃত্যু মেয়ের:
২৬ বছরের অ্যানা সেবাস্টিয়ান ছিলেন পেশায় একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। মেধাবী এই তরুণী নিজের কর্ম দক্ষতার জেরে পুণেতে প্রথম সারির অডিট সংস্থা আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং অফিসে যোগদান (Job) করেন। পুণের এই অফিসে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই নিযুক্ত হন তিনি। জানা যায় অ্যানা ছিলেন কেরালার বাসিন্দা। পুণেতে এসে সিএ পাশ করেন। আর এরপর কর্মসূত্রে এখানেই থেকে যাওয়া। কিন্তু আজ কাজ করেই জীবনে কাল নেমে আসে।
এই বিষয়ে অ্যানার মা অনিতা দেবী দাবি করেন, মাত্রারিক্ত কাজের চাপ সহ্য করতে পারেননি তাঁর মেয়ে। মেয়ের মৃত্যুর পর গুরুতর অভিযোগ তুলে ওই সংস্থার বসকে একটি ইমেলের মাধ্যমে চিঠি লেখেন। অনিতা দেবীর দাবি, সংস্থার চাহিদা পূরণ করতে দিনরাত খাটত তাঁর মেয়ে। সাধ্যের বাইরে গিয়েও প্রায় সময় অ্যানাকে কাজ করতে হত। এমনকি বেশিরভাগ সময় অফিসিয়ালি ডিউটি ছাড়াও রাত জেগে কাজ করতে হতো।
আরও পড়ুন: তেন্ডুলকার-পন্টিংদের ক্লাবে যোগ দিলেন কোহলি! গড়লেন “বিরাট” নজির, জানলে আপনিও হবেন খুশি
চিঠিতে অনিতা দেবী অভিযোগ করেছেন, চাকরিতে (Job) যোগ দেওয়ার মাত্র ৪ মাসের মাথায় অ্যানা শারিরীক এবং মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমনকি তিনি জানান, মেয়ের শেষ কাজের সময়ও নাকি অফিস থেকে কেউ আসার প্রয়োজন বোধ করেননি। আর সেই চিঠি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই চিঠি ভাইরাল হওয়ার পর কোম্পানির তরফ থেকে অ্যানার জন্য শোক প্রকাশ করেছে। সেইসাথে পরিবারের পাশে আছে বলেও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারে ঝড়, সেনসেক্স পৌঁছল “All Time High”-তে, ৫.৬ লক্ষ কোটির লাভ বিনিয়োগকারীদের
তবে এই চিঠি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। এমনকি এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের তরফ থেকে তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু অ্যানাই নয়, এমন চাপের শিকার প্রতিনিয়ত হচ্ছেন কর্মচারীরা। যার ফলে অনেকেই মানসিক ভাবে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন।