বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ দু’বছর জেলের ঘানি টেনেই খুলল কপাল। এক কিলো ওজন ঝরাতে যেখানে কত পরিশ্রম করতে হয় সাধারণ মানুষকে সেখানে কেষ্টর জেলাযাত্রা যেন শাপে বর। টানা ১৮ মাস দিল্লির তিহাড় জেলে থেকে ৩০ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গ্রেফতার হওয়া অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বীরভূমের দাপুটে হেভিওয়েট নেতা বলেই পরিচিত তিনি। ওজনও ছিল তাই। তবে তিহাড়ে গিয়েই যেন ম্যাজিক।
আগে শোনা গিয়েছিল ভারী ওজনের জন্য শারীরিক সমস্যা-কষ্টও হচ্ছিল কেষ্টর। তবে এখন ওজন ঝরিয়ে ছিপছিপে চেহারায় জেল থেকে বেড়িয়েছেন অনুব্রত। ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে সিবিআই এর হাতে গ্রেফতারির সময় অনুব্রত মণ্ডলের ওজন ছিল ১১৫ কেজি। ২০২৩ সালে জেলের কঠোর অনুশাসনে কেষ্টর ওজন কমে ৯১ কেজিতে পৌঁছেছিল। আর জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার সময় প্রায় ৩০ কেজি ওজন কমেছে অনুব্রত মণ্ডলের।
অতিরিক্ত ওজনের জন্য শ্বাসকষ্টের সমস্যাতেও বহুদিন ভুগেছেন অনুব্রত। ২০২২ সালে দিল্লির তিহাড়ে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে হাঁটা-চলাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তার। সেই সময় কেষ্টর সঙ্গী ছিল হুইল চেয়ার। জেলে যাওয়ার পর একাধিকবার অসুস্থও হয়ে পড়েন অনুব্রত। একসময় শারীরিক অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজিরা দিতেও পারতেন না। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা দিতেন তিনি। তবে শোনা যাচ্ছে সেসব সমস্যা থেকে এখন মুক্ত অনুব্রত। শারীরিকভাবে একদম ফিট বীরভূমের বাঘ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে গরু পাচার মামলায় ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর হয়েছে অনুব্রতর। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রথমে আসানসোল সিবিআই আদালতে এই মামলা চলে। সেখানেই সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন তৃণমূল নেতা। এরপর তিহাড় জেলে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয় অনুব্রতকে। সেখানে তাকে গ্রেফতার করে ইডিও। এতদিন তিহাড়েই ছিলেন তৃণমূলের কেষ্ট। এবার ফিরে আসছেন বাংলায়।
আরও পড়ুন: ‘২৩ থেকে ২৭..,’ রাজ্যের সমস্ত স্কুলের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল শিক্ষা দফতর, এখনই জানুন
সুপ্রিম কোর্টে শর্তসাপেক্ষে জামিন মিলেছে কেষ্টর। আদালতের নির্দেশ, এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় তাকে হাজির থাকতে হবে। তিনি কখনো বিদেশ গেলে তার নিম্ন আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। তা ছাড়া তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। পাশাপাশি যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন তা তদন্তকারী অফিসারদের দিতে হবে। কখনও তিনি ফোন বন্ধ করতে পারবেন না। এই মামলার কোনও সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না।