বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান-৪ মিশনের অনুমোদন করেছে সরকার। এমতাবস্থায়, নয়া ইতিহাস তৈরি করার লক্ষ্যে বিজ্ঞানীরাও এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন। ঠিক এই আবহেই এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। যেটি সম্পর্কে জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) তার কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।
চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) চমকে দিল বিজ্ঞানীদের:
জানিয়ে রাখি যে, বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভার ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে গভীর ঘুমে গিয়েছিল। কিন্তু, তারা এক বছর ধরে কাজ করে পৃথিবীতে তথ্য পাঠাতে ব্যস্ত রয়েছে। সবথেকে বড় বিষয় হল, এখন প্রজ্ঞান রোভার চন্দ্রপৃষ্ঠে একটি বিশাল গর্ত আবিষ্কার করেছে বলেও জানা গিয়েছে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে প্রজ্ঞানের পাঠানো তথ্য থেকে এই প্রাচীন গর্তের সন্ধানের বিষয়টি সামনে এসেছে। ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট অনুসারে, এই গর্তটি ১৬০ কিলোমিটার চওড়া। বলা হচ্ছে এটি চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)-র ল্যান্ডিং সাইটের কাছাকাছি রয়েছে। আহমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবের বিজ্ঞানীদের দ্বারা প্রকাশিত সায়েন্স ডাইরেক্টে এই সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপিত করা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুসারে, অনুমান করা হচ্ছে যে, দক্ষিণ-মেরু অ্যাটকিন অববাহিকা গঠনের আগেও এই গর্তটি তৈরি হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দক্ষিণ মেরু-অ্যাটকিন অববাহিকাটি চাঁদের পৃষ্ঠে বিদ্যমান বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম ইম্প্যাক্ট বেসিন হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রজ্ঞান রোভারের তোলা ছবিগুলি এই প্রাচীন গর্তের গঠন সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছে। যা চাঁদ সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র প্রদান করতে পারে।
এদিকে, প্রজ্ঞান রোভারের কাছ থেকে এই গর্তসহ আরও বিভিন্ন তথ্য পাওয়ায় সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের উৎসাহ বেড়েছে বলে জানা গেছে। এই গর্ত সম্পর্কিত তথ্য চাঁদের প্রাথমিক ইতিহাস এবং এর পৃষ্ঠ সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করতে পারে। জানিয়ে রাখি যে, চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই লঞ্চ করা হয়েছিল। এর পরে, গত ২৩ অগাস্ট এটি সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে। আর এই সফল অবতরণের মাধ্যমেই ইতিহাস তৈরি করে ভারতও। এর আগে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিন চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছিল। এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত।