দিঘায় গিয়ে বিপদ? চিন্তা নেই! আপনাকে সাহায্য করতে রেডি এই বিশেষ তরুণ দল, কেসটা কী?

বাংলাহান্ট ডেস্ক: সৈকত নগরী দিঘায় প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। বিদেশি পর্যটকদের কাছেও ক্রমশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে বাঙালির প্রিয় দিঘা (Digha)। এমনিতেই গোটা বছর পর্যটকদের কোলাহলে মুখরিত থাকে দিঘা। দিঘার পাশাপাশি পর্যটকদের কাছে বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় মন্দারমণি, তাজপুরও। জানা যাচ্ছে, এবার থেকে পর্যটকদের সহায়তার জন্য এই সব জায়গায় থাকবে টুরিস্ট গাইড।

দিঘায় (Digha) এবার নয়া চমক

‘ওয়েস্ট বেঙ্গল টুরিস্ট গাইড সার্টিফিকেশন স্কিম‘-এর (West Bengal Tourist Guide Certification Scheme) আওতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টুরিস্ট গাইডরা সাহায্য করবেন পর্যটকদের। টুরিস্ট গাইড হিসেবে রাজ্য সরকার এই প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এই টুরিস্ট গাইডরা পর্যটকদের বিভিন্ন পর্যটন এলাকা ঘুরিয়ে দেখাবেন। ভ্রমণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা টুরিস্ট গাইড। গোটা রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন স্থলে দেখা মেলে টুরিস্ট গাইডদের। পুরীর মন্দিরের আদলে দিঘায় নির্মাণ করা হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির।

   

আরোও পড়ুন : এই কারণে দ্বিতীয় টেস্ট খেলবেন না শাকিব? চেন্নাইতে হারের পর ফের বড় ধাক্কার সম্মুখীন বাংলাদেশ

প্রশাসন থেকে পর্যটন ব্যবসায়ী, অনেকেই মনে করছেন জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পর পর্যটকের সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে দিঘায় (Digha)। সেক্ষেত্রে পর্যটকদের সাহায্যের জন্য টুরিস্ট গাইডদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। দিঘা (Digha), মন্দারমণি, তাজপুরের পাশাপাশি উপকূলের বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় দেখা মিলবে এই টুরিস্ট গাইডদের। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে প্রশিক্ষণের পর টুরিস্ট গাইডদের দেওয়া হচ্ছে সার্টিফিকেট।

Digha

 

কারিগরি শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমে উৎকর্ষ বাংলা মডিউলের অধীনে জেলা পর্যায়ে পরিচালিত এই প্রশিক্ষণে যোগদান করতে হলে নূন্যতম মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হতে হবে। কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স হলে করা যাবে আবেদন। এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টুরিস্ট গাইড কৃষ্ণপদ দাস জানান, “সরকার টুরিস্ট গাইড হিসাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। ট্রেনিং শেষে আমরা সার্টিফিকেট পাই। প্রশাসন জানিয়েছে কাজে নামতে। টুরিস্টদের গাইড করা আমাদের কাজ হবে।”

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর