‘শ্রাবন্তী, কোয়েল তো আর জুটবে না!’ নীল চোখ ভিলেন সুমিত গাঙ্গুলির গলায় আক্ষেপের সুর

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলা সিনেমার দুঁদে একজন ভিলেন সুমিত গাঙ্গুলি (Sumit Ganguly)। তাঁর নীলচে চোখ আর চোখমুখের বিদঘুটে এক্সপ্রেশন দেখে ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। চিত্রনাট্য অনুযায়ী সিনেমার পর্দায় খলনায়ক হিসাবে কখনও কখনও অনেক নায়িকাদের সাথেই জঘন্য ব্যবহার করতেন সুমিত (Sumit Ganguly)। একটা সময় বাংলা সিনেমার খলনায়ক শব্দটার পরিপূরক হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

আক্ষেপের সুর বাংলা সিনেমার ভিলেন সুমিত গাঙ্গুলির (Sumit Ganguly) গলায়

আসলে দিনের পর দিন, টেলিভিশনের পর্দায় তাঁকেই ভিলেনের (Villain) চরিত্রে দেখে দর্শকদেরও তাঁকেই খলনায়ক হিসাবে মনে ধরেছিল। বলা ভালো, একপ্রকার অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। তাই ভিলেন ছাড়া আজ অবধি তাঁকে অন্য কোনো চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেননি দর্শকরাও। তাই এমন একজন অভিনেতার (Sumit Ganguly) জীবনে নায়িকা পাওয়া সত্যিই কল্পনাতীত ব্যাপার।

   

মুখের কাটা দাগের সাথে ওই বিদঘুটে হাসি আর চোখের ভয়ঙ্কর চাহনি দেখেলেই ভয়ে হৃদপিন্ড হাতে চলে আসার জোগাড় হবে নায়িকাদের। তাই দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে এই দুঁদে খলনায়কের একটা বিরাট আফসোস থেকে গিয়েছে। আজ পর্যন্ত কোনো সুন্দরী নায়িকার সাথে স্কিন শেয়ার করতে না পারার আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে তাঁর।

সে কথা জানিয়েই নিজের সিনেমার একটি দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী কমলিকা বন্দোপাধ্যায় তাঁর বুকে মাথা রেখে দাঁড়িয়ে আছেন। সেই পোষ্টের ক্যাপশনে রসিকতা করে অভিনেতা লিখেছেন, ‘শ্রাবন্তী, কোয়েল, রচনা আর এই জীবনে জুটল না। জুটবেও না। চলো কমলিকাই সই। যা জোটে কপালে।’

আরও পড়ুন : চাইলে এড়িয়ে যেতে পারতাম, কিন্তু কাজ তো কারও বাপের সম্পত্তি নয়! ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে সরব ভাস্বর

প্রসঙ্গত বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুমিত বলেছেন, ‘একটা সময় আমাকে দেখিয়ে বাচ্চাদের ভয় দেখাতেন তাদের বাবা-মায়েরা। আমাকে প্রচণ্ড ভয় পেত ছোট ছেলেমেয়েরা। ‘কেঁচো খুড়তে কেউটে’ ছবিতে ভিলেন করার পর লাগাতার ভিলেনের রোলই করেছিলাম।’

একাধিক বাংলা সিনেমায় হাড় হিম করে দেওয়ার মতো ভয়ানক ভয়ানক ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমিত।  তালিকায় রয়েছে ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’, ‘যুদ্ধ’, কিংবা ‘ঘাতক’, -এর মতো সিনেমা। যা দেখে ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকতো তখনকার বাচ্চারা।

অভিনেতার কথায়, ‘ ভয়ানক-ভয়ানক সব ভিলেন করেছি। হাড় হিম হওয়ার মতো। সেগুলো সেই সময়কার বাচ্চারা দেখে ভয় পেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে, ঠিক সময় খেয়ে নিয়েছে, পড়তে বসেছে, স্কুলে গিয়েছে। তাই আমার এটাই গর্ব যে, আমি এভাবেই ভয় দেখিয়ে অন্তত ৮ থেকে ৯ কোটি বাচ্চাকে মানুষ করেছি, যারা এখন অনেক বড়-বড় হয়ে গিয়েছেন। হয়তো চাকরি-বাকরি করছে।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর