এবার দৃষ্টিহীনরাও দেখবেন পৃথিবীর আলো! মাস্কের সংস্থা নিয়ে আসছে অবাক করা যন্ত্র

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দিন যত এগোচ্ছে ততই প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে। প্রযুক্তির কাছে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। জলের তলায় যদি ট্রেন চলতে পারে তাহলে বুঝতে পারছেন প্রযুক্তি ঠিক কতটা উন্নত। তবে এবার যে উন্নতির পথে বিজ্ঞান এগিয়েছে, তা বোধ হয় কেউ ভাবতেই পারেনি। সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীনদের আলো দেখাবে এবার বিজ্ঞান। আর সেই পথেই এবার নিউরালিঙ্ক (Neuralink)।

কোন যন্ত্র আনতে চলেছে নিউরালিঙ্ক (Neuralink):

জানা যাচ্ছে, ধনকুবের এলন মাস্কের সংস্থা নিউরালিঙ্ক (Neuralink) এবার অসাধ্য সাধন করার পথে। ধনকুবের এলন মাস্কের সংস্থার তৈরি করেছে ‘ব্লাইন্ডসাইট’ যন্ত্র। এটা কোনো সাধারণ যন্ত্র নয়। এই যন্ত্রের মাধ্যমেই সম্পূর্ণদৃষ্টিহীন ব্যক্তিদের দৃষ্টি ফেরানো যাবে। এমনকি এই নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্লাইন্ডসাইট নিয়ে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ সংক্রান্ত প্রশাসন ‘ক্লিয়ারেন্স’ দিয়ে দিয়েছে। এমনকি এই আবিষ্কার বিজ্ঞান মহলে বিরাট সারা ফেলেছে।

   

A unique discover Neuralink.

এই বিষয়ে মাস্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, “নিউরালিঙ্কের (Neuralink) ব্লাইন্ডসাইট ডিভাইস এমন মানুষেরও দৃষ্টিশক্তি ফেরাবে যাঁরা দুই চোখ এবং অপটিক নার্ভ সবই হারিয়েছেন। এমনকী জন্মান্ধদেরও যদি ভিশুয়াল কর্টেক্স ঠিক থাকে তাহলে তাঁদেরও দৃষ্টি ফেরাবে এই যন্ত্র।”

আরও পড়ুন: এই কারণে দ্বিতীয় টেস্ট খেলবেন না শাকিব? চেন্নাইতে হারের পর ফের বড় ধাক্কার সম্মুখীন বাংলাদেশ

তবে এই বিষয়ে জানিয়ে রাখি, ব্লাইন্ডসাইটই একমাত্র আবিষ্কার নয়। এছাড়াও আগে আরো বিশেষ আবিষ্কার করতে দেখা যায় নিউরালিঙ্ককে (Neuralink)। ২০১৬ সালে স্থাপিত হয় এই সংস্থা। তখন থেকে মানুষের মস্তিষ্কে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ নিয়ে কাজ শুরু হয়। সম্প্রতি মানব মস্তিষ্কে চিপ বসাতে সক্ষম হয় নিউরোলিঙ্ক। এটি এমন একটি যন্ত্র যার সাহায্যে মানুষকে আর কিছু আলাদা করে ফোনে লেখার জন্য বলতে হবে না। এই চিপ মানুষের শরীরে বসানো থাকলে মস্তিষ্কের সাহায্যে গেম, দাবা খেলা, সমাজ মাধ্যমে পোস্ট সবকিছু করা যাবে। যন্ত্রটি একপ্রকার টেলিপ্যাথির মতো কাজ করবে।

আরও পড়ুন: ফের অনুরাগীদের মন জয় করলেন মাহি! CSK-র জন্য নিলেন বড় সিদ্ধান্ত, জানলে হবেন খুশি

এমনকি এই যন্ত্র কতটা সফলতা অর্জন করেছে সেই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়। পোল্যান্ডের এক তরুণ আট বছর আগে দুর্ঘটনার জেরে মেরুদন্ডে চোট পান। এর ফলে তার বাঁদিক পুরোই প্যারালাইজড হয়ে যায়। আর তারই মস্তিষ্কে বসানো হয় চিপ। এই ব্যক্তির মধ্যে দিয়ে আবিষ্কারের সফলতা দেখা যায়। সেই থেকে এই চিপ মানুষের মধ্যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে শুরু করে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর