বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা! অনুব্রত মণ্ডলকে বীরভূমের ‘বাঘ’ বললেও খুব একটা ভুল হয় না। বিগত দু’বছর ধরে জেলবন্দি থাকার পর সদ্য বাড়ি ফিরেছেন তিনি। মঙ্গলবার সাতসকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন সকন্যা কেষ্ট (Anubrata Mondal)। এরপর সেখান থেকে রওনা দেন বীরভূমের উদ্দেশে। জয়ধ্বনি, পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় তাঁকে। গোটা রাস্তা নিজেকে সামলে রাখলেও বাড়ি ঢুকতেই অবশ্য কান্নায় ভেঙে পড়েন অনুব্রত।
হাউহাউ করে কান্না তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal)
অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে নিচুপট্টির বাড়িটা ফাঁকাই পড়েছিল। তাঁর জামিনের খবর আসতেই শুরু হয় সাফসাফাই। এতদিন পর আজ নিজের বাড়িতে ঢুকে চোখের জল সামলাতে পারেননি তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা। কেঁদে ফেলেন মেয়ে সুকন্যাও।
- দু’হাতে চোখ ঢাকলেন অনুব্রত
রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনার জন্য কেষ্টর বাড়িতে একটি আলাদা ঘর রয়েছে। এতদিন অবধি এখানে বসেই যাবতীয় নির্দেশ দিতেন তিনি। পিছনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাসিমুখের ছবি, সামনে রাখা চেয়ার। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে এই ঘর ফাঁকাই ছিল। আজ সেখানে পা রাখতেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি।
আরও পড়ুনঃ লাস ভেগাসের স্ফিয়ারে মিশবে আরজি করের প্রতিবাদের ডাক! অনন্য ভাবনা সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের
ঘরে ঢুকে নিজের চেয়ারে বসেন কেষ্ট। টেবিলের পাশে রাখা চেয়ারে এসে বসেন মেয়ে সুকন্যা। সেখানে কথা বলতে বলতেই চোখে জল চলে আসে কেষ্ট (Anubrata Mondal) কন্যার। আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তৃণমূল নেতাও। দু’হাতে চোখ ঢেকে ফেলেন তিনি, মুছে নেন চোখের জল। এরপর ছলছল চোখ নিয়েই তাকিয়ে থাকতে দেখা যায় অনুব্রতকে।
এদিকে কেষ্টর জামিনের খবর আসার পর থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁর প্রত্যাবর্তন নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। বীরভূমের রাজনীতিতে ফের পুরনো ভূমিকায় তাঁকে দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এদিন কেষ্টর বাড়িতে স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল (TMC) নেতাকে দেখা গিয়েছে। হাজির ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরাও।
অনুব্রতর বাড়ি ফেরার দিনেই আবার বীরভূমে সভা রয়েছে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ দু’জনের দেখা হবে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। বাড়ি ঢোকার মুখে কেষ্ট (Anubrata Mondal) অবশ্য জানিয়েছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন … মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি ভালোবাসি। গোটা বাংলা, গোটা দেশের মানুষ ভালোবাসে। আমার পায়ের অবস্থা ভালো নয়। শরীর যদি ভালো থাকে, দিদির সঙ্গে দেখা করব’।