বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি (Gautam Adani) এবার ফের একটি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছেন। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্য তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার ডিফেন্স সেক্টরে নিজের উপস্থিতি আরও প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছেন এই ধনকুবের। জানিয়ে রাখি যে, গৌতম আদানি এয়ারলাইন্স এবং ডিফেন্স সেক্টরে পার্টনারশিপের প্রসঙ্গে আলোচনা করতে Bombardier-এর CEO এরিক মার্টেলের সাথে দেখা করেছেন। উল্লেখ্য যে, আদানি গ্রুপ বর্তমানে বন্দর তথা পোর্ট থেকে শুরু করে পাওয়ার সেক্টর সহ আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসা করছে। দেশের ৭ টি বিমানবন্দর তত্ত্বাবধান করে আদানি গ্রুপ। এদিকে, Bombardier হল কানাডার “বিজনেস” এয়ারক্রাফ্ট ম্যানুফ্যাকচারার।
ডিফেন্স সেক্টরে বাজিমাত করবেন আদানি (Gautam Adani):
শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভর ভারত গড়তে একত্র হন: এদিকে, এই বৈঠকের পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম “এক্স”-এ আদানি (Gautam Adani) লিখেছেন “দেশে বিমান পরিষেবা, এমআরও এবং প্রতিরক্ষা খাতে রূপান্তরমূলক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা তিনি আলোচনা করেছেন Bombardier-এর সিইও এরিক মার্টেলের সাথে। আমরা একটি শক্তিশালী, আত্মনির্ভর ভারত গড়তে একত্র হয়েছি। ভারতীয় বিমানবন্দরগুলিকে রূপান্তরিত করার জন্য অত্যাধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণে তাঁর সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা লাভের লক্ষ্যে আদানি গ্রুপ সিভিল অ্যাভিয়েশন সেক্টরে প্রবেশ করেছে।”
Powering India’s aviation growth! Had a great discussion with @Bombardier CEO Éric Martel on transformative partnerships in Aircraft Services, MRO and Defence. Together, we are harnessing synergies for a stronger, self-reliant India. @AdaniOnline #AatmanirbharBharat… pic.twitter.com/i7db81MuLu
— Gautam Adani (@gautam_adani) September 24, 2024
আদানি গ্রুপ ৭ টি বিমানবন্দরের তদারকি করে: জানিয়ে রাখি যে, আদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিংস লিমিটেড (AAHL) ২০১৯ সালে আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ১০০ শতাংশ সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। AAHL-এর লক্ষ্য হল বিমানবন্দরের অভিজ্ঞতায় পরিবর্তন আনা।
আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়ায় কোন প্লেয়ারের সাথে লড়াই করেছেন রোহিত? রাখঢাক না রেখেই জানালেন আকাশ চোপড়া
বর্তমানে, AAHL মুম্বাই, আহমেদাবাদ, লখনউ, ম্যাঙ্গালুরু, জয়পুর, গুয়াহাটি এবং তিরুবনন্তপুরমে দেশের ৭ টি প্রধান বিমানবন্দর রক্ষণাবেক্ষণ করে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিংস লিমিটেড (AAHL)-এর পোর্টফোলিওতে নাভি মুম্বাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (NMIA)-এর অন্তর্ভুক্তি দেশের বিমান শিল্পে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে।
শুধু তাই নয়, এর ফলে AAHL-এর পোর্টফোলিও ৭ টি বিমানবন্দর থেকে ৮ টি বিমানবন্দরে বেড়ে যাবে। জানিয়ে রাখি যে, আদানি বিমানবন্দর কোম্পানি হল ভারতের বৃহত্তম কোম্পানি। যেটি বিমানবন্দর তৈরি করে এবং পরিচালনা করে। ভারতের সমস্ত বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের মধ্যে ২৫ শতাংশ আদানি কোম্পানির বিমানবন্দরের মাধ্যমে যাতায়াত করেন। শীঘ্রই, প্রধানমন্ত্রী এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী নাভি মুম্বাইয়ের নতুন বিমানবন্দর পরিদর্শন করবেন। সেখানে তাঁরা দেখবেন কীভাবে এই বিমানবন্দরে ফাইটার প্লেন অবতরণ করতে পারে। এই প্রথম এই ধরণের ঘটনা ঘটবে।