খাস কলকাতাতে বিরাট চক্র! কফির বোতলে এই দেশে পাচার হচ্ছে সিম, অপরাধ ফাঁস হতেই….

বাংলা হান্ট ডেস্ক: খবরের কাগজের পাতায় কিংবা টিভিতে কোনও না কোনও চক্রের মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিস পাচারের প্রসঙ্গ প্রায়শই উঠে আসে। সেগুলির মধ্যে ডিজিটালি অপরাধের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি সামনে আসে। তবে এবার যে প্রসঙ্গটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে শুনে মাথায় হাত পুলিশেরও। মূলত, পাচারের কৌশল দেখেই অবাক হয়েছেন সকলে। কলকাতা থেকে কফির বোতলে সিম কার্ড (Sim Card) লুকিয়ে পাচার করা হচ্ছিল কম্বোডিয়ায়! আর সেই কাণ্ডই হাতেনাতে ধরেছে পুলিশ।

লুকিয়ে পাচার হচ্ছে সিম কার্ড (Sim Card):

কিভাবে হতো এই সিম পাচার: জানা গিয়েছে, বিদেশে পাঠানো হবে বলে নামী সংস্থার ক্যুরিয়রে বুকিং করা হত কফির বোতল। আর কফির নাম করে সেই সমস্ত বোতলে করে কম্বোডিয়ায় পাচার হয়ে যেত ভারতীয় নম্বরের সিম কার্ড (Sim Card)।

International racket of sim card smuggling.

তবে এই সিম কার্ডগুলি (Sim Card) আগে থেকেই চালু করে ইন্টারন্যাশনাল রোমিংয়ের সুবিধে নেওয়া থাকত। তারপরই সেগুলি পাচার করা হতো। সেই সমস্ত নম্বর থেকে ফোন করে দেশের সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন রকমের হুমকি দেওয়া হতো। শুধু তাই নয়, কখনও আবার আর্থিক প্রতারণার ফাঁদে ফেলত প্রতারকরা। আর সেই খবরই সামনে এসেছে।

আরও পড়ুন: বড়সড় সর্বনাশ চিনের! সমুদ্রে ডুবে গেল নতুন পারমাণবিক সাবমেরিন, মজা নিচ্ছে আমেরিকা

শুল্ক দফতর থেকে খবর পেয়ে এমনই অভিনব প্রতারণার প্রক্রিয়া হাতেনাতে ধরেছে কলকাতা পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় গত এপ্রিল মাসেই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ এদিকে, গত মঙ্গলবার আরও চ৪ জনকে গ্রেফতার করা হলো৷ তথ্যসূত্রে জানা গেছে ধৃতদের নাম। এরা হলেন বাবাই রায়, মানস দেশী, রাজু সর্দার এবং বিধান চন্দ্র নস্কর।

আরও পড়ুন: ভারতে ক্রমশ কমছে বিদেশি পর্যটকদের আগমন! সামনে এল একাধিক কারণ, জানলে হবেন “থ”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছেন। এমনকি এই সিমের (Sim Card) জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির আধার কার্ড নম্বর-সহ ভুয়ো নথি হাতিয়ে সিমকার্ড তুলত অপরাধীরা। এরপর সেই সিম অ্যাক্টিভ করে মোটা টাকার বিনিময়ে কম্বোডিয়ায় পাচার করতো। যদিও এবার কম্বোডিয়ায় পাচার হওয়ার আগেই ৩৬১টি সিম উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত গোটা বিষয়টিতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে, এই চক্রের সাথে জড়িত মূল মাথার সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর