অন্ধকারে ডুবতে বসেছে ওপার বাংলা! ভারত কী কোনভাবে….

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শহর থেকে গ্রাম, বাংলাদেশে (Bangladesh) বিদ্যুৎ বিপর্যয় সাধারণ মানুষের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দোকানপাট থেকে বাড়িঘর, বহু জায়গায় ঘন্টার পর ঘন্টা থাকছে না বিদ্যুৎ। ভারত (India) থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যাওয়ায় এমন বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটছে বলে বক্তব্য অনেকের।

প্রবল বিদ্যুৎ সমস্যায় বাংলাদেশ (Bangladesh)

যদিও এমন ধারণার সাথে মিল রয়েছে বাস্তবেরও। ভারতের আদানিসহ অন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি কমপক্ষে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। যার ফলে ওপার বাংলায় দেখা দিয়েছে চরম বিদ্যুৎ সংকট। অন্যদিকে রয়েছে এলএনজি সরবরাহ আমদানি কমে যাওয়া।

Bangladesh

এর কারণে কমপক্ষে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক উৎপাদন কমে গেছে পদ্মাপারে।বাংলাদেশ (Bangladesh) বিদ্যুৎ বিভাগ জানাচ্ছে, ২৭ হাজার ৭৯১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশের। ভারত থেকে আমদানি ও দেশের নিজস্ব সক্ষমতায় সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ১৬ হাজার ৪৭৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

আরোও পড়ুন : তিলোত্তমাদের নিয়ে তৈরী হচ্ছে সিনেমা! বিতর্ক তৈরী হতেই মুখ খুললেন রাজন্যা

চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে (Bangladesh) দৈনিক ২ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে থাকে। তবে গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি কমে গিয়েছে ৭০০ মেগাওয়াটের বেশি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বিষয়টা নিয়ে মুখ খুলেছেন।

india bangladesh border

একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি আরও উন্নতি হবে। সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম দিকে আসার কথা। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে যে এলএনজি আমরা কিনি সেটি এ মাসেই আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তখন গ্যাস সরবরাহ বাড়বে, বিদ্যুতের ঘাটতিও থাকবে না।’

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর