পুজোর আগে কমবে দাম? বাংলাদেশ থেকে এল ১০ মেট্রিক টন ইলিশ, কি বলছেন বিক্রেতারা?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) ইলিশ আদৌ কি এই রাজ্যে আসবে? কয়েকদিন আগেও এই নিয়ে শুরু হয়েছিল তীব্র জল্পনা। যদিও এবার, দীর্ঘ টালবাহানার পর হাওড়ায় পৌঁছে গেল বাংলাদেশের ইলিশ। গত শুক্রবার সকাল থেকেই পাইকারি বাজারে বিক্রি হতে দেখা যায় “রুপোলি শস্য”-কে। পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে যে বাংলাদেশ থেকে মোট ১০ মেট্রিক টন ইলিশ হাওড়ায় পৌঁছেছে।

রাজ্যে এল বাংলাদেশের (Bangladesh) ইলিশ:

এমতাবস্থায়, ওই ইলিশ জেলার সমস্ত খুচরো বাজারে পৌঁছে যাবে বলেও জানানো হয় পাইকারি বিক্রেতাদের তরফে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, হাওড়ার পাইকারি বাজারে আসা ওই ইলিশের দাম ছিল প্রতি কেজিতে ১,৪৫০ টাকা থেকে ১,৬০০ টাকার মধ্যে।

10 metric tons of hilsa came from Bangladesh.

যদিও, এই দাম সামগ্রিকভাবে জোগান এবং চাহিদার ওপরে নির্ভর করে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জানিয়ে রাখি যে, বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে মোট ৪০ মেট্রিক টন ইলিশ এখনও পর্যন্ত রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। গত বৃহস্পতিবার পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে পড়শি দেশের ইলিশ। পাশাপাশি এটাও জানা গিয়েছে যে, পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে আরও ইলিশ আসতে পারে।

আরও পড়ুন: IPL-এ করেছিলেন বাজিমাত! ভারতীয় দলে এবার “এন্ট্রি” নেবেন এই দুর্ধর্ষ বোলার, হয়ে গেল কনফার্ম

এদিকে, পুজোর ঠিক আগে, বাংলাদেশের (Bangladesh) ইলিশ বাজারে আসায় স্বভাবতই খুশি বিক্রেতারা। যদিও, এই মাছের দাম কতটা মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এই প্রসঙ্গে একজন বিক্রেতা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে ইলিশের দাম প্রতি কেজিতে ১,৭০০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। যার মানে হল খুচরো বাজারে এই দাম আরও বাড়বে।

আরও পড়ুন: আচমকাই পরিকল্পনা বদল আদানির! এই সেক্টরে খরচ করবেন ৩৩ হাজার কোটি, চমকে দেবে কারণ

তবে, ইলিশের দাম কমার বিষয়ে আশাবাদী কলকাতার “ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন”-এর সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ। তিনি জানিয়েছেন যে, জোগান বৃদ্ধির সাথে সাথে পুজোর আগে ইলিশের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এমনটা হলে মধ্যবিত্তরাও এই মাছ কিনতে পারবেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর