বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে দেশের প্রথম সেমি-হাই স্পিড ট্রেন হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। এই ট্রেনটি যেমন লাক্সারিয়াস, তেমনই এই ট্রেনের গতি, আর যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থাও অতুলনীয়। আর এবার প্রধানমন্ত্রীর মেক ইন ইন্ডিয়ার নীতি শুধু ভারতেই নয়, এর আলোড়ন ফেলেছে বিদেশেও। তেজস ফাইটারের পর এখন সারা বিশ্বের নজর বন্দে ভারতের ওপর। ভারত ছাড়িয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চাহিদা এখন বিশ্বের দরবারে।
বিশ্বের দরবারে বন্দে ভারতের (Vande Bharat Express) চাহিদা:
যদিও চলতি মাসে, নতুন ৩ টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) চালু হয়। এতে যেমন ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে, তেমনি এই ট্রেনের সুবিধা নিতে মানুষের মধ্যে উত্তেজনাও দেখা যাচ্ছে। আর এরই মধ্যে জানা গেলো, চিলি, কানাডা এবং মালয়েশিয়ার মত বিভিন্ন দেশগুলিও এই মুহূর্তে বন্দে ভারত কেনার প্রবল আগ্রহ দেখাচ্ছে। তবে এই আগ্রহ দেখানোর পেছনেও রয়েছে বিশেষ কিছু কারণ।
বন্দে ভারত ট্রেন কেনার কারণ: সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বন্দে ভারত ট্রেন (Vande Bharat Express) কেনার মূল কারণ হচ্ছে খরচ। অন্যান্য দেশে যেখানে এই ট্রেনগুলি তৈরি করতে ১৬০ থেকে ১৮০ কোটি টাকা খরচ হয়। সেখানে ভারত এর তুলনায় অনেক কম খরচে এই ট্রেন বানিয়ে দিতে পারে। জানা যায়, ভারতের বন্দে ভারত ট্রেনের দাম ১২০ থেকে ১৩০ কোটি টাকা।
বুলেটকে হার মানায় বন্দে ভারত: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) ছোটার যে গতি তা অন্যান্য দেশের দ্রুত গতির ট্রেনকেও হার মানায়। জানা গিয়েছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছাতে মাত্র ৫২ সেকেন্ড সময় নেয়। আর উল্টোদিকে জাপানের বুলেট ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছাতে সময় নেয় ৫৪ সেকেন্ড।
আরও পড়ুন: “কোহলিকে ধরে রেখে বাকি সবাইকে ছাড়তে হবে”, মেগা নিলামের আগে RCB পেল “সলিড” পরামর্শ
কি বলেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব: এদিকে, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই বিষয়ে জানিয়েছেন, গত ১০ বছরে ৩১,০০০ কিলোমিটারের বেশি ট্র্যাক যুক্ত করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত এর লক্ষ্য মাত্রা ৪০,০০০ কিমি অতিরিক্ত ট্র্যাক যোগ করা। তিনি এই বিষয়ে আরও বলেন, এই ট্র্যাকের কাজ চলছে এবং খুব দ্রুতই এই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জেতার পরেই কেন আন্তর্জাতিক T20 থেকে অবসর নিলেন রোহিত? “মনের কথা” জানালেন হিটম্যান
অন্যদিকে ট্রেনের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন। অশ্বিনী বৈষ্ণব এই বিষয়ে জানিয়েছেন, কবচ ব্যবস্থা সম্প্রসারনেরও কাজ চলছে। এটি ৪০ হাজার কিলোমিটার নেটওয়ার্ক বিস্তার করবে। সেই সাথে ১০ হাজার লোকোমোটিভে ইন্সটল করা হবে। কবচ হচ্ছে ট্রেনের নিরাপত্তা দেওয়ার অন্যতম ব্যবস্থা। অশ্বিনী বৈষ্ণব সাংবাদিকদের এই বিষয় বলেন, এই কবচ বসানো হয়ে গেলে ট্রেন দুর্ঘটনার সংখ্যা আগামী দিনে ৮০ শতাংশ কমে যাবে।