ফেব্রুয়ারিতেই বিরাট ‘সুখবর’! কী ঘোষণা করবে রাজ্য? দেবের কথায় খুশির হাওয়া বাংলায়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একাধারে অভিনেতা, অন্যদিকে সাংসদ তিনি। দুই ভূমিকাতেই সফল দেব (Dev)। ‘টেক্কা’র প্রচার চালানোর পাশাপাশি ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতির দিকেও কড়া নজর রয়েছে তাঁর। এবার যেমন জানালেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই বড় সুখবর দিতে পারে রাজ্য। কী সেই সুখবর, সেটাও জানিয়েছেন তিনি।

  • পুজোর আবহেই বিরাট ঘোষণা দেবের (Dev)!

প্রত্যেক বছর বর্ষা এলেই বানভাসি অবস্থা হয় ঘাটালের। বিপর্যস্ত হয় জনজীবন। তবে শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের (Ghatal Master Plan) কাজ হবেই, জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ দেব। তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই এই নিয়ে বড় সুখবর দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেন্দ্রের সহায়তা ছাড়া, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রাজ্য একাই করবে, একথা আগেই জানা গিয়েছিল। এবার দেবের আশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই এই নিয়ে সুখবর পেতে পারেন ঘাটালবাসী। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী তারিফ করেন ঘাটালের সাংসদ।

আরও পড়ুনঃ আজই ঘুরে যাবে ‘খেলা’! দাবি পূরণ না হলে …! এবার আরও বড় পদক্ষেপ জুনিয়র ডাক্তারদের?

পশ্চিম মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র দেব (Dev)। ২০১৪ সাল থেকে ঘাটালের সাংসদ। তিনি এমপি হওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হবে। কিন্তু তেমনটা হয়নি। সেই কারণে চব্বিশের লোকসভা ভোটে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তখনই অভিষেক জানান, রাজ্য সরকার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করবে। একথা শোনার পর ফের ভোটে দাঁড়াতে রাজি হয়ে যান অভিনেতা।

When Ghatal Master Plan will complete Mamata Banerjee Dev said this

২০২৪ লোকসভা ভোটে ঘাটাল (Ghatal) থেকে ফের একবার বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন দেব। সাংসদ হওয়ার পর থেকেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের দিকে কড়া নজর রয়েছে তাঁর। এবার এই প্রোজেক্টের কাজ শেষ করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর তিনি। জানা যাচ্ছে, এই বিষয়ে প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছেন। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকরা বেশ কয়েক দফায় বৈঠক করেছেন বলে খবর।

দেব (Dev) বলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ এগোচ্ছে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সুখবর দেবেন আশা করি। একইসঙ্গে বলেন, এই কাজ একা কারোর পক্ষে করা সম্ভব নয়। এর জন্য বেশ কিছু জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। সেই কারণে এই বিষয়ে স্থানীয় মানুষদের সাহায্য কামনা করেছেন তিনি।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর