বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের রাজ্যের আরেক মামলার তদন্তভার গেল সিবিআই এর হাতে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মেয়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য সংক্রান্ত একটি মামলায় আগেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মেয়েকে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ। আর সেই মন্তব্যকে সমর্থন করে হাততালি দেওয়ার অভিযোগে দুই মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, হেফাজতে থাকাকালীন ওই দুই মহিলাকে ব্যাপক মারধর করে পুলিশ। এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
ফের এক মামলায় তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে
পুজো ছুটির আগে মঙ্গলবার এই বিষয়ে বিস্তারিত শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এরপরই এই সংক্রান্ত তদন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI) হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এর আগে এই মামলাতেই বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের প্রশ্ন ছিল, একটা মামলায় কিভাবে জেলার একাধিক থানায় এফআইআর দায়ের ! এও সম্ভব? যদিও এদিন রাজ্যের আইনজীবী বলেন, এই সংক্রান্ত বিষয়ে নিম্ন আদালতে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। নিয়ম মেনেই পুলিশ সব করেছে।
গত সপ্তাহে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য সংক্রান্ত মামলায় দুই বিজেপি মহিলা কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ কুরুচিকর মন্তব্য না, শুধুমাত্র হাততালি দেওয়ার অপরাধেই বিভিন্ন থানায় এফআইআর করা হয়েছে, এমনকি জেল হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে ওই দুই মহিলাকে। আদালতে এমনটাই দাবি করেন অভিযুক্তদের আইনজীবীর। ওই দু’জনের মুক্তির আবেদন জানিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
সেই মামলাতেই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েন রাজ্যের আইনজীবি৷ আদালতে মামলা উঠলে অভিযুক্তদের অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তির আর্জি জানিয়ে আইনজীবীর দাবি ছিল, ‘‘আবেদনকারীদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। জেল হেফাজতে মেডিক্যাল চেক আপের সময় তারা নির্যাতনের কথা বলেন। শুধুমাত্র মন্তব্যের প্রতিবাদের জন্য ও হাততালি দেওয়ার জন্য ২৬ দিনের জেল! একই মামলায় রাজ্যের বিভিন্ন থানায় একাধিক এফআইআর করা হয়েছে। ’’
আরও পড়ুন: পঞ্চমীতে বৃষ্টি শুরু দক্ষিণবঙ্গে! বিকেলে কোন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার লেটেস্ট আপডেট
পাল্টা সরকারের আইনজীবী বলেন, ‘‘মামলাকারীরা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্যাতনের বিষয়ে জানাতে পারতেন। ম্যাজিস্ট্রেট তো পুলিশের দ্বারা প্রভাবিত নন। একজন রাজনৈতিক নেতার নাবালক সন্তানের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য। লজ্জাজনক সত্য। এরপর যারা হাততালি দিচ্ছিলেন, উল্লাস করছিলেন.. ! কোনও সুশীল সমাজে এটা বলা যায় কি? যিনি মন্তব্য করেছেন তিনি পুলিশি হেফাজতেই। তবে যারা এহেন অবমাননাকর মন্তব্য সমর্থন করছিলেন তাদের আদালত প্রশ্রয় দিতে পারে না ।’’ মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতেই সিবিআই এর হাতে তদন্তের ভার তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।