বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিন যত গড়াচ্ছে ততই পৃথিবীর (Earth) অবস্থা ভয়াবহ পরিণতি নিচ্ছে। বেশ কিছুদিন আগেই বিজ্ঞানীরা জানায় কলকাতা সহ ভারতের বিভিন্ন বড় বড় শহর জলের তলায় তলিয়ে যাবে। আর এমন চাঞ্চল্যকর খবরের মধ্যে উঠে এসেছে আরও বিরাট তথ্য। জানা যাচ্ছে এবার শুধু কলকাতা কিংবা মুম্বাই নয় গোটা বিশ্ব সংকটের দুয়ারে। বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়ন পৃথিবীর (Earth) জন্য সবথেকে বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর বুকে বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধ না করা গেলে আগামী কয়েক শতকের মধ্যে পৃথিবীর (Earth) উষ্ণতা মাত্রা ছাড়া বেড়ে যাবে। আর এর ফলে পৃথিবীতে বাঁচা দায় হয়ে পড়বে। কি এসি, কি কুলার কোনো কিছুই এর ধার ধারবে না।
বিশ্ব উষ্ণায়ন পৃথিবীকে (Earth) কিভাবে ক্ষতি করবে:
বিজ্ঞানীরা শুধু আজকে নয় বিগত কয়েক বছর ধরে বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধের জন্য মানবজগতকে বারবার সতর্ক করে আসছেন। তারা গবেষণা করে দেখেছেন, পৃথিবীতে (Earth) ভয়াবহ উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রাণী জগতের অবলুপ্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, গ্রীন হাউসের পরিমাণ কমানো না গেলে, পৃথিবীতে উষ্ণতাও কোনমতে কমানো সম্ভব নয়। এমনকি তারা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে একটি জীবাশ্ম খুঁজে বের করে নানারকম গবেষণা করছেন। আর এই জীবাশ্ম থেকে ডাইনাসরের সময় পৃথিবীর (Earth) উষ্ণতা কেমন ছিল আর তারপর থেকে উষ্ণতা কতটা বেড়েছে সেই নিয়েই গবেষণা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন : থামল লড়াই, দেবীপক্ষে চুপিসারেই চিরবিদায় নিলেন রতন টাটা
ওয়ার্ম হাউজের কারণেই আজ পৃথিবীর এই দুর্দশা:
বিজ্ঞানীরা গবেষণার সময় দেখেছেন, এখনও পর্যন্ত পৃথিবীতে (Earth) মোট চার রকম ভাগে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। আর এই আবহাওয়ার ভাগগুলি হচ্ছে, হট হাউস, ওয়ার্ম হাউস, কুল হাউজ এবং আইস হাউস। তবে পৃথিবী (Earth) এতদিন ধরে আইস হাউস স্তরের মধ্য দিয়েই যাচ্ছিল। তবে পরবর্তীতে এই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটেছে। গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে আবহাওয়া ওয়ার্ম হাউজে পরিণত হয়েছে।
আরো পড়ুন : ৩,৬৫,০৫,০৯,১২,৫০০….. একদিনেই বিপুল লক্ষ্মীলাভ আদানির! ধনকুবেরদের তালিকায় কোথায় দাঁড়িয়ে আম্বানি?
আর এই ভাবে যদি গ্রীন হাউসের বৃদ্ধি পেতে থাকে, তাহলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন ৩৪ মিলিয়ন বছর আগে যে সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল সেই সময় পুনরায় ফিরে আসতে চলেছে। এছাড়াও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এইভাবে যদি পৃথিবীর (Earth) উষ্ণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে ২৩০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর উষ্ণতা এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে যা গত পাঁচ কোটি বছর আগেও মানুষ তো দূর আদিম মানুষ কিংবা ডাইনোসরও দেখেনি।
আপনাদের জানিয়ে রাখি চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ার মাত্রা ঠিক কতটা ছিল। আর সেই মাত্রাই সহ্য করতে পারেনি বঙ্গবাসী। আর যদি অন্যান্য দেশের কথা বলি, এমন অনেক দেশ আছে যেগুলি শীতকালীন দেশ। যেখানে টেম্পারেচার ২০° পৌঁছালেই মানুষের মধ্যে হাঁসফাঁস শুরু হয়ে যায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন স্বাভাবিকের তুলনায় যদি তাপমাত্রা বেড়ে যায় মানুষের পক্ষে বাঁচা কতটা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই আজ থেকেই সাবধান হয়ে যান নইলে বিপদ বাড়বে বৈ কমবে না।