এক পয়সাও লাগবে না! ২০২৮ সাল অবধি ফ্রি রেশন! পুজোর মধ্যেই বিরাট ঘোষণা সরকারের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এদেশে এমন বহু পরিবার রয়েছে যারা দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের জন্য রেশনের ওপর নির্ভরশীল। রেশন (Ration) দোকান থেকে যে সামগ্রী প্রদান করা হয় তা দিয়েই সংসার চলে অনেকের। এবার দেশের আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের কথা ভেবে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। পুজোর আবহেই বড় সুখবর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

  • রেশন (Ration) নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত সরকারের!

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সীমান্ত এলাকার পরিকাঠামোর উন্নয়নের ওপর ফোকাস করছেন। সেই কারণে সীমান্ত অঞ্চলে ২,২৮০ কিমি রাস্তা তৈরির জন্য ৪.৪০৬ কোটি টাকা বিনিয়োগে মন্ত্রীসভা অনুমোদন দিয়েছে। একইসঙ্গে ২০২৮ সাল অবধি বিনামূল্যে চাল দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, জুলাই ২০২৪ থেকে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর মাস অবধি প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা (Pradhan Mantri Garib Kalyan Yojana) ও অন্যান্য কল্যাণমূলক স্কিমের আওতায় ফ্রি-তে সুরক্ষিত চাল সরবরাহ করা হবে। এই বিষয়েও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের ফলে এদেশের অগুনতি মানুষের সুরাহা হতে চলেছে।

আরও পড়ুনঃ সপ্তমীতে বর্ষণ কলকাতায়! পুজোর ৪ দিন বাংলার আবহাওয়া কেমন থাকবে? প্ল্যান বানানোর আগেই দেখুন

অশ্বিনী বৈষ্ণব এদিন বলেন, আশা করা হচ্ছে, এটি অ্যানিমিয়া ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি কমাবে। তিনি জানান, ১৭,০৮২ কোটি টাকার এই স্কিমে কেন্দ্র ১০০ শতাংশ অর্থায়ন করবে। উন্নয়নের প্রচার ও পুষ্টি সুরক্ষা বৃদ্ধি কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

Ration distribution

২০২৮ সালের ডিসেম্বর মাস অবধি বিনামূল্যে চাল সরবরাহ (Ration) করার কথা ঘোষণা করে অশ্বিনী বৈষ্ণব এদিন বলেন, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে অর্থনৈতিক বিষয় সম্বন্ধিত মন্ত্রীসভা কমিটি চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যে গোটা দেশে পর্যায়ক্রমে চাল ফোর্টিফিকেশনের উদ্যোগ বাস্তবায়িত করা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। এখনও অবধি তিনটি ধাপে এটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানান তিনি।

একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের যদি ফ্রি-তে চাল প্রদান (Ration) করা হয় তাহলে তাঁদের মধ্যে অ্যানিমিয়া ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি হ্রাস পাবে। ২০১৯ ও ২০২১ সালের মধ্যে হওয়া ন্যাশানাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে বলছে, অ্যানিময়া এদেশের একটি বড় সমস্যা। যা পুরুষ, মহিলা, শিশুদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর