পুজোর কোলাহলে ক্লান্ত? ভিড় এড়িয়ে পা রাখুন এই গ্রামে; ফুরফুরে হয়ে যাবে শরীর,মন দুই-ই

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুজোয় শহরের কোলাহল ভাল লাগছে না? পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে চাইছেন নিরিবিলিতে কয়েকটা দিন ঘুরে আসতে? আবার হাতে সময়ও বেশি নেই? তাহলে আপনার জন্য আজকের প্রতিবেদনে রয়েছে দুর্দান্ত একটি ডেস্টিনেশনের খোঁজ। প্রকৃতির সান্নিধ্যে একদিনের জন্য ঘুরে আসুন আঁটপুর (Antpur) থেকে।

টুক করে চলে যান আঁটপুর (Antpur)

হুগলির আঁটপুর (Antpur) বহু ঘটনার সাক্ষী। শ্রীরামকৃষ্ণের নয় শিষ্য নরেন্দ্র, বাবুরাম, শরৎ, শশী, তারক, কালী, নিরঞ্জন, গঙ্গাধর এবং সারদা এই গ্রামেই ধুনি জ্বালিয়ে সংসার ত্যাগের সংকল্প করেছিলেন। সেই স্মৃতি অখন্ডিত রাখতে স্বামী বিবেকানন্দ ও ৯ জন সন্ন্যাসীর মূর্তি খোদাই করা রয়েছে গ্রামের ধুনি মন্ডপে।

Durgapuja

এই গ্রামের চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অজস্র মন্দির। অনেক মন্দির বেশ প্রাচীন। মন্দিরের গায়ে রয়েছে অপূর্ব টেরাকোটার কাজ। এই জনপদে রয়েছে রাধাগোবিন্দর মন্দির। বর্ধমান রাজার দেওয়ান কৃষ্ণরাম মিত্র ১৭৮৬-৮৭ সালে ১০০ ফুট উঁচু রাধাগোবিন্দ মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। মন্দিরের গায়ে পৌরাণিক ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে টেরাকোটার কাজে।

আরোও পড়ুন : ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’! বাংলাদেশের মন্দিরে হামলা, কড়া অবস্থান নিল ভারত! হিন্দুদেরকে দিল ‘বিশেষ’ বার্তা

অষ্টকোণাকৃতি রাসমঞ্চ, গম্বুজ আকৃতির দোলমঞ্চ রয়েছে এই মন্দিরের সামনেই। এছাড়াও কাছাকাছি রয়েছে জলেশ্বর, রামেশ্বর, বানেশ্বর ও ফুলেশ্বর মন্দির। ৩০০ বছরের পুরনো কাঁঠাল কাঠের চণ্ডীমণ্ডপ এই গ্রামের অন্যতম আকর্ষণের একটি দ্রষ্টব্য স্থান। শত শত বছর পুরনো এমন অসংখ্য মন্দির ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আঁটপুরে।

আরোও পড়ুন : বিজয়ার দিন কেন সিঁদুর খেলা হয়? উমা বিদায়ের শেষ লগ্নে জেনে নিন এই রীতির আসল কারণ

রামকৃষ্ণ মঠের উদ্যোগে সংস্কার করা বাবুরাম ঘোষের বাড়ি ‘প্রেমানন্দ ভবন’ এই গ্রামেই অবস্থিত। যে ৯ জন সন্ন্যাসী সংসার ত্যাগের সংকল্প নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম বাবুরাম ঘোষ। রামকৃষ্ণ মঠের উদ্যোগে প্রেমানন্দ ভবনে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় দুর্গাপুজোর। এছাড়াও এই গ্রামে জন্মেছিলেন কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।

Antpur

কলকাতা থেকে মাত্র ৫২ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে হয় আঁটপুর (Antpur) যেতে হলে। কলকাতা থেকে ডানকুনি, চণ্ডীতলা হয়ে শিয়াখালা, গজারমোড় পার করে এই গ্রামে পৌঁছানো যায়। এছাড়াও হাওড়া থেকে গেলে পার করতে হয় ডোমজুড়, জগৎবল্লভপুর, জাঙ্গিপাড়া। আঁটপুর রামকৃষ্ণ মঠের অতিথি নিবাস ও রাজবলহাটে যাত্রীনিবাসে রাত কাটানোর সুব্যবস্থা রয়েছে পর্যটকদের জন্য।


Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর