কলকাতার প্রতিবাদের সুর লন্ডনেও, এসেক্স দুর্গাপূজায় থিম ‘We Demand Justice’

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ক্রিসমাসের আসল মানে যেমন যীশুর জন্মদিন পালন করা নয় তেমনি দুর্গাপূজার (Durgapuja) আসল মানে ধর্মীয় উদযাপন নয়। ক্রিসমাস আসলে পরিবার ও বৃহত্তর পরিবারের একটি ছাদের নীচে আসা – family get together bonding. এই একটা দিন সবাই এক টেবিলে বসে লান্চ খেতে খেতে বেঁধে ফেলে সারা বছরটা কে কয়েক ঘন্টার মধ্যে আড্ডা গল্পের মাধ্যমে। দুর্গাপূজাও (Durgapuja) তেমনি সমাজ ও পরিবারের মেলবন্ধন। আমাদের ব্যস্ত জীবনের মাঝে সব ভুলে গিয়ে হাসি আনন্দে কাটিয়ে দেওয়া কটা দিন ও মন উজাড় করা আন্তরিকতা।

লন্ডনের এসেক্স দুর্গাপূজায় (Durgapuja) অভয়া থিম

এসেক্স দুর্গাপূজা (Durgapuja) ঠিক এই অনুভূতির ধারক ও বাহক। এ পুজোর আন্তরিকতা পাঁচদিন সময়ব্যাপী হলেও আত্মিকভাবে সদানন্দে বিরাজমান – ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে এবারে ন বছরে। এ বছরে একইরকম ঊদ্দীপনা কিন্ত সুরটা প্রতিবাদের বর্তমান কলকাতার পরিস্হিতির জন্য- শুরু হচ্ছে প্রতিবাদী মহিষাসুরমর্দিনী দিয়ে – justice for abhaya badge আর we demad justice থাকছে মূল থিম। মৃৎশিল্পী প্রখ্যাত মোহনবাঁশী রুদ্রপাল ঘরানার সনাতন রুদ্রপালের- আশি নব্বই দশকের এশিয়ান পেন্টসের শারদ সম্মানের বিজয়ী বহুবার। যারাই দেখেছে সামনাসামনি বা virtual social media তে চোখ ফেরাতে পারেনি- এক মাধুর্য, শ্রদ্ধা ও feel good অনুভূতি।এ অনুভূতির শরীক হতে হলে আপনাকে আসতে হবে Gidea Park Cricket Club Essex – 9th to 13th October.

 আরো পড়ুন :পুজো প্রেমে শিলমোহর মধুমিতার, পুরনো বিয়ে ভুলে সুপুরুষ প্রেমিককে প্রকাশ্যে আনলেন নায়িকা

প্রতিমার সাজ এবং মণ্ডপসজ্জা

প্রতিমার সঙ্গে রয়েছে এক অভিনব মন্ডপসজ্জ ও তোরণ -gidea park cricket club marquee তে সবুজের মাঝে। দেয়ালে দেয়ালে নিউ মার্কেট, হাওড়া ব্রিজ, দক্ষিণেশ্বর- মনে হবে আপনি কলকাতায় আছেন। তার সঙ্গে কালীঘাটের পটুয়াশিল্পীদের হাতে আঁকা ছবি- এক সহজ অথচ গভীর স্হাপত্যের নিদর্শন। সবচেয়ে মন ছুঁয়ে যাওয়া অনুভূতি এসেক্স। পুজোতে (Durgapuja) উত্তরসূরীদের দায়িত্বশীলতা- generation next এর brochure cover design আর creative writing এ, ঠাকুরের আবাহন বিসর্জনের কায়িক পরিশ্রমে, নাচে গানে আবৃত্তিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। classical থেকে নবদুর্গা – উত্তরসূরীরা অগ্রভাগে।

আরো পড়ুন :জয়ার সংসার ভেঙে অমিতাভের সঙ্গে পরকীয়া, ‘সিলসিলা’র পর আর একসঙ্গে কাজ করেননি কেন রেখা!

থাকছে কী কী আয়োজন

বাঙালীদের সঙ্গে রমফোর্ড এর মেয়র থাকছেন – পান্জাবী বন্ধু আবৃত্তি করছেন রবীন্দ্রনাথের তালগাছ । পুজো (Durgapuja) কমিটি উদ্যোগ নিয়েছে পুজোর সারমর্ম যেন উত্তরসূরীদের কাছে পৌঁছয়। এখানে তাই কচিকাঁচারা পেছনের বেন্চে বসে whatsapp/ FB/Insta করে না, বরং মাটিতে বাবু হয়ে বসে মন দিয়ে শোনে পুরোহিত দর্পণে পারদর্শী ডাক্তার পুরোহিতের সহজ করে বুঝিয়ে দেওয়া প্রাণপ্রতিষ্ঠা, বোধন, পুষ্পান্জলি, আরতি ও বিসর্জনের ইতিকথা।

ডক্টরশেফের পরিচালনায় সবকটি দুপুর ও রাতের খাবার আয়োজন করেছে কমিটির সদস্যরা নিজের হাতে রান্না ও পরিবেশন করে। স্বভাববশত catering নয়, নিজের হাতের রান্নায় এসেক্স পুজো (Durgapuja) জিতে নিয়েছে বাঙালী অবাঙালী সাহেব মেমসাহেব সবার হ্রদয়। এসেক্স ইন্ডিয়ান্স সব event এই মানবিকতার স্বাক্ষর রেখে যায়। দুর্গাপুজো (Durgapuja) তার ব্যতিক্রম নয়। Grandchildren of Essex Indians fundraise করছে তাদের grandparents দের মনোনীত charity র জন্যে। ‘নবমী নিশিতে- হাসি দিয়া কান্না ঢাকি বিজয়ায়’। বিজয়ায় পুজো যখন শেষ মা ফিরে যাবেন ঘরে Essex indians আয়োজন করেছে বিজয়া সম্মিলনীর – থিম – পুজো হবে আচার মেনে উৎসব হবে বিচার পেলে ।

Durgapuja

আলোর রোশনাই হয়ত কিছুটা কম হবে – বাহ্যিক মনোরন্জন হয়ত কিছুটা কম হবে কিন্তু আন্তরিকতা থাকবে ভালো কাজের মধ্যে বেঁচে থাকবে essex Durga pujor কর্মযজ্ঞ আর তিলোত্তমার বাবা মা র সঙ্গে থাকব আমরা ৫০০০ মাইল দূর থেকে – কলকাতার আন্দোলনের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব।

Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর