এক্কেবারে সেরার সেরা!ভারতের এই ফুডে’র নাম উঠল রিপোর্টে, কোন দেশের খারাপ খাদ্যাভ্যাস জানেন ?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় ভারতের (India) খাদ্যাভাস জলবায়ুর উপর কম নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। G-20 তালিকাভুক্ত দেশগুলির মধ্যে ভারতের খাদ্য গ্রহণের ধরন সব থেকে পরিবেশ বান্ধব। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি যদি ভারতের মতো খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবহারে মনোনিবেশ করে, তাহলে পরিবেশ রক্ষায় পালন করা যাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

ভারতের (India) এক বিশেষ খাবার

সম্প্রতি লিভিং প্ল্যানেট রিপোর্ট এমনটাই দাবি করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতে (India) মৌসুমী ও স্থানীয় খাবারের গুরুত্ব রয়েছে যেগুলি কম পরিবেশ ক্ষতি করে। বাজরা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য রয়েছে ভারতীয়দের খাদ্যাভাসে। তবে এগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাজরার উপর। বিশ্বের বৃহত্তম বাজরা উৎপাদনকারী দেশ ভারত।

India food

২০২৩ সালে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে  “মিলেটস ইয়ার” ঘোষণার পর থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভারতের খাদ্যাভাসে বাজরার গুরুত্ব বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রচার অভিযানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বোঝানো গেছে বাজরার (Pearl Millet) পুষ্টিগত গুণ ও পরিবেশের উপর এটির উপকারিতা। গোটা পৃথিবীতে উৎপাদিত মোট বাজরার ৪১ শতাংশ উৎপাদন হয় ভারতে (India)।

আরোও পড়ুন : Stake মার্কেটে আকর্ষণীয় অফার নিয়ে আসছে TreasureNFT; দেখে নিন নিশ্চিত আয়ের বিবরণ

খুব সামান্য পরিচর্যায় এই ফসল বেড়ে ওঠে এবং স্বাস্থ্যের উপর যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ভারতের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া ও চীনের খাদ্যাভাসকেও এই গবেষণায় উপযুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে গবেষণায় বলা হয়েছে আমেরিকা, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলির খাদ্যাভাস সবথেকে নেতিবাচক। এই সকল দেশের নাগরিকরা অতিরিক্ত চর্বি ও চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণ করার ফলে স্থূলতার শিকার হচ্ছেন।

Millet 1 1

এই গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, খাদ্যাভাসের উন্নতির জন্য কমাতে হবে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের ব্যবহার। নিরামিষ খাবারের প্রতি খাদ্যাভাস বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করলে একদিকে যেমন খাদ্য অপচয় কমবে, তেমনই জলবায়ুর উপর নেতিবাচক প্রভাবও হ্রাস পাবে।


Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর