বাংলাহান্ট ডেস্ক : জন জে. হপফিল্ড এবং জিওফ্রে ই. হিন্টন চলতি বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল (Nobel) পেতে চলেছেন। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের সাহায্যে মেশিন লার্নিংকে সক্ষম করে তোলার মৌলিক আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য নোবেল (Nobel) পাচ্ছেন এই দুই বিজ্ঞানী। দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ২০২৪ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল (Nobel) বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে মঙ্গলবার।
দুই প্রতিবেশীর জুটল নোবেল (Nobel)
পুরস্কার ঘোষণার সাথে সাথে কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, পদার্থবিদ্যার টুল ব্যবহার করে এমন কিছু শক্তিশালী পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন জন হপফিল্ড এবং জিওফ্রি হিন্টন, যা অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির ভিত্তি। এমন এক ধরনের অ্যাসোশিয়েটিভ মেমোরি জন হপফিল্ড তৈরি করেছেন যেটি ডেটায় সংরক্ষিত ছবি বা অন্যান্য প্যাটার্ন পুনর্গঠন করতে সক্ষম।
এই পদ্ধতি মেশিনের ছবি ও প্যাটার্ন শনাক্ত করতে সাহায্য করে। ডেটা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৈশিষ্ট্য অনুসন্ধান করে চিহ্নিত করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন জিওফ্রি হিন্টন। আমেরিকার শিকাগো শহরে ১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন জন জে. হপফিল্ড। বর্তমানে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনার সাথে যুক্ত জন জে. হপফিল্ড। জিওফ্রি ই. হিন্টন লন্ডনে ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
আরোও পড়ুন : সন্ন্যাসী পিটিয়ে বিতর্কে BJP-র অনন্ত মহারাজ! শাস্তির দাবিতে পথ অবরোধ ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীদের
এই দুই বিজ্ঞানীর আবিষ্কার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছে। হিন্টন একটা সময় কাজ করতে গুগলে। ২০২৩ সালে তিনি কাজ ছেড়ে দেন। হিন্টন বলেন প্রযুক্তি যে মানব সভ্যতার কাছে অভিশাপ হয়ে দাঁড়াতে পারে তা বোঝানোর জন্যই তিনি গুগল ছেড়েছেন। তিনি অনুভব করতে পারছিলেন প্রযুক্তি নির্ভরতা একটা সময় হারিয়ে দেবে মানুষকেও।
Did you know that an artificial neural network is designed to mimic the brain?
Inspired by biological neurons in the brain, artificial neural networks are large collections of “neurons”, or nodes, connected by “synapses”, or weighted couplings, which are trained to perform… pic.twitter.com/KgHpQzhdW1
— The Nobel Prize (@NobelPrize) October 8, 2024
রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সসের নোবেল কমিটির সদস্য ইলেনও এই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘মেশিন লার্নিংয়ের অসংখ্য সুবিধা থাকলেও যে দ্রুতগতিতে সেটা এগিয়ে যাচ্ছে, তা আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করে দিচ্ছে। সুরক্ষিত এবং নৈতিকভাবে যাতে এই নয়া প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা যায়, সেটার দায়িত্ব বর্তায় মানুষের উপরে, যাতে সেগুলিকে মানুষের সবথেকে ভালো কাজে ব্যবহার করা যায়।’