বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাঙালিরা কি সহজাত বুদ্ধিমান? এর উত্তর জানা নেই। কিন্তু, বাঙালিরা বিজ্ঞানী (Scientist) হিসেবে যে সেরা একথা বারবার প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। এবার বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীর তালিকায় জায়গা করে নিলেন আরেক বাঙালি। তাঁর নাম প্রফেসর সত্যজিৎ সাহা। সেই সাথে তিনি বাংলার ইতিহাসে গড়লেন নজিরবিহীন ইতিহাস। ২০২৪-এ আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন তিনি। তাঁর এই বিরাট কৃতিত্বে ধন্য ধন্য করছে গোটা দেশ।
সেরা বিজ্ঞানীদের (Scientist) তালিকায় পেলেন স্থান:
জানা গিয়েছে, বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণামূলক কাজ, নতুনত্ব আবিষ্কার, এইচ- ইনডেক্স, এইচএম-ইনডেক্স সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে প্রতিবছর বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের (Scientist) তালিকা প্রকাশিত করে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। আর এই বছর সেই তালিকায় বড় বড় হরফে নাম খোদাই করলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিভাগের বরিষ্ঠ অধ্যাপক তথা বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর সত্যজিৎ সাহা।
তথ্যসূত্র জানা গিয়েছে, সত্যজিৎ বাবু ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। তিনি মেদিনীপুরের ঐতিহাসিক কলেজিয়েট স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন। তারপর আইআইটি খড়গপুর থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর থেকে টানা ২৬ বছর ধরে তিনি, মেদিনীপুরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও গবেষণা করে চলছেন। বর্তমানে তাঁর নামে অসংখ্য আর্টিক্যাল, জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে।
পদার্থবিজ্ঞানী সত্যজিৎ সাহার উল্লেখযোগ্য গবেষণাগুলির মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে- ন্যানো সায়েন্স, ন্যানো টেকনোলজির মাধ্যমে তৈরি বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্র, এছাড়াও ন্যানোপার্টিকেলস ব্যবহার করে সোলার সেল তৈরি। এগুলি ছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণা হচ্ছে, বায়োমলিকিউলের সংযোগে রক্তে সরাসরি ওষুধ প্রয়োগ করা এবং ন্যানো প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বল্প খরচে সেমিকন্ডাক্টিং যন্ত্রপাতি তৈরি। বর্তমানে তাঁর এই গবেষণাগুলি বিশ্বজুড়ে সুখ্যাতি লাভ করছে।
এই বিষয় অধ্যাপক সত্যজিৎ সাহা বলেন, “দিন দিন গবেষণার খরচ বেড়েই চলেছে। ফলস্বরূপ গবেষণালব্ধ জিনিসপত্রের অর্থাৎ যন্ত্রপাতির দাম বেশ বাড়ছে। আমাদের লক্ষ্য, ন্যানো পার্টিকেলস ব্যবহার করে কম খরচে সেমিকন্ডাক্টিং ম্যাটিরিয়ালস তৈরি করা এবং ডিভাইস তৈরীর ক্ষেত্রে সেগুলি প্রয়োগ করা।” এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, ন্যানোপার্টিক্যালস ব্যবহার করে সৌর কোষ তৈরিরও ওপরেও গবেষণা চলছে।