বাংলাদেশী দুজনকে বাড়ি পাঠালো ভারত, আর্থিক সঙ্কট দূর করার জন্যই এপার বাংলায় আসা!

বর্তমানে বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং ভারতের সম্পর্ক তিক্ততায় এসে ঠেকেছে। ওপার বাংলা থেকে ভারতের সাথে সম্পর্ক না রাখারই মন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছে মৌলবাদীদের গলায়। তবে উল্টোদিকে প্রতিবেশী দেশের খারাপ সময় বারবার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। আর এমন বন্ধু শত্রু টানাপোড়েনের মাঝে শোনা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ওপার বাংলা থেকে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করা দুজনকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওদের গন্তব্যস্থল বাংলাদেশে (Bangladesh)। প্রায় ১০ মাস আগে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে আসে। আর তারপর থেকে বাংলায় থেকে যায়।

বাংলাদেশী (Bangladesh) দুই নাগরিককে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হলো:

তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই বাংলাদেশীর (Bangladesh) মধ্যে একজন তরুণ এবং একজন কিশোরী। শনিবার বিএসএফের তরফে এই দুই বাংলাদেশী নাগরিককে বিজিবির কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ওই তরুণের নাম সুব্রত ভট্টাচার্য, বয়স মাত্র ২১। সুব্রতর বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়। আর কিশোরীর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায়।

আরো পড়ুন: মুম্বইয়ের বুকে ‘হিন্দু ডন’ হওয়ার স্বপ্ন, এরপর এই তারকা রয়েছেন বিষ্ণোইদের নিশানায়! বাড়ানো হল নিরাপত্তা

ঠিক কি কারণে এপার বাংলায় আসেন তারা?

তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, সুব্রত ও তাঁর মা বিভূতি ভট্টাচার্য বাংলাদেশে (Bangladesh) একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তবে কাজ করে যত টাকা পেতেন তাতে পরিবারের খরচ উঠত না। পরিবারের আর্থিক অবস্থা দূর্বল হওয়ার কারণে বাংলায় এসেছিলেন সুব্রত। মূলত পুরোহিত-বিদ্যা শেখার লক্ষ্যেই এপার বাংলায় আসা। তবে ভিসা, পাসপোর্ট না থাকার কারণে এক দালাল মারফত অবৈধভাবে সীমান্ত পার করে বাংলায় প্রবেশ করেছিলেন।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশ নয়! এবার এই প্রতিবেশী দেশ আদানিকে দিল বড় ঝটকা, জানলে হয়ে যাবেন “থ”

উল্টোদিকে ওই কিশোরীও সেই সময়েই সীমান্ত পার করে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে এপার বাংলায় আসেন। আর তাদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করে দেয় কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাস এবং বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাস। শনিবারই আখাউরা চেকপোস্ট হয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) ফিরে গিয়েছেন দুই নাগরিক।

যদিও দেশে ফেরার আগে সুব্রত জানান, প্রায় ১০ মাস আগে পাসপোর্ট ছাড়াই তিনি রামগড় সংলগ্ন সীমান্ত পর করে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তবে সীমান্ত পার করার সময়ই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যান। সেখান থেকে আদালতে পেশ করা হয় এবং আদালত থেকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আর এবার তাকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হলো। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলেকে ১০ মাস পর বাড়ি ফিরে আসতে দেখে সুব্রতর মা অত্যন্ত খুশি।

Bangladesh

তিনি জানিয়েছেন, “এক দিন রাতে ফোন আসে। তখন আমাকে জানানো হয়, আমার ছেলে ভারতে। ফোন পেয়ে আমি দিশাহারা হয়ে গিয়েছিলাম। প্রায় ১০ মাস ছিল সেখানে। আমি তা শুনে প্রায় পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। আমার স্বামীও অসুস্থ। কোথায় যাব, কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এত দিন পর ছেলেকে ফিরে পেয়ে আমি আনন্দিত।”

Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর