বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর আগে বীরভূমে ফিরেছেন। গরু পাচার মামলার দীর্ঘদিন জেলবন্দি থাকার পর ‘ঘর ওয়াপসি’ হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। এবার তাঁর গলায় শোনা গেল ‘নরম সুর’! বীরভূমের ‘বাঘ’ হিসেবে খ্যাত এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আজ বলেন, ‘বুথ কর্মীরাই দল বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমি নেতা নই’।
বিজয়া সম্মিলনীতে একি বললেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)!
তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) তরফ থেকে আগেই বিজয়া সম্মিলনীর ডাক দেওয়া হয়েছিল। জেলায় জেলায় গিয়ে, পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে জনসংযোগের ডাক দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার যেমন বীরভূমে বিজয়া সম্মিলনী পালন করা হয়েছে। হাজির ছিলেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই অনুষ্ঠানেই মাইক হাতে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বড় বার্তা দেন তিনি।
এদিন অনুব্রত বলেন, ‘জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প রয়েছে। উনি উন্নয়ন চরম পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। আপনাদের মতোই আমি একজন কর্মী। বুথ কর্মীরাই দলকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমি নেতা নই। আমার নেত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।
আরও পড়ুনঃ পর্ণার স্মৃতি ফিরতেই ওলটপালট সব! জ্যাস, গীতা ফেল! নতুন বেঙ্গল টপার কে হল জানেন?
আজ ‘হানাহানি’, ‘মারামারি’ না করার বার্তা দেন কেষ্ট। অনুব্রত বলেন, ‘কাছে টেনে নিন। দল আরও বড় হবে। কার জন্য ঝগড়া করবেন? আমার জন্য, মন্ত্রীর জন্য ঝগড়া করার দরকার নেই। আমরা প্রত্যেকে কর্মী হয়ে যাই। নেতা হব না। আমাদের সবার একজন নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা কর্মী হিসেবে মানুষের পাশে থাকব’।
বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং কাজল শেখের সমীকরণ নিয়ে একসময় বহুল চর্চা হয়েছে। এদিন কেষ্ট সেই কাজলেরও খোঁজখবর নিয়েছেন বলে খবর। তিনি বলেন, ‘কাজল শেখ এসেছে? আসতে পারেনি। সবাই মিলে ফের আসব। সব দুঃখ কষ্ট মিলিয়ে দল করব’।
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হলেন বীরভূমের জেলা সভাপতির পদে কাউকে বসায়নি তৃণমূল। সেই পদটা ফাঁকাই ছিল। জেলার কাজ সামলানোর জন্য সব গোষ্ঠী সমন্বয়ে একটি কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার জেল থেকে বেরিয়েও সবাইকে নিয়ে চলার বার্তাই দিলেন কেষ্ট।