বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর (RG Kar) ইস্যুতে এখনও চলছে প্রতিবাদ। দিকে-দিকে আন্দোলন, আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিত্সক ধর্ষণ-খুনে ঘটনার পর থেকেই টানা কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা। মাঝে সাময়িক পরিস্থিতি সামালে এলেও পরে সাগর দত্ত হাসপাতালের ঘটনার জেরে ফের শুরু হয় কর্মবিরতি। এদিকে ডাক্তারদের এই লাগাতার কর্মবিরতির জেরে ‘সমস্যা’য় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।
সরকারি হাসপাতালে পরিষেবায় ঘাটতির জেরে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছে সাধারণ মানুষ। রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) ‘স্বাস্থ্যসাথী’ (Swasthya Sathi) প্রকল্পের উপর ভরসা করে সু-চিকিৎসার আশায় বেসরকারি হাসপাতালের দরজায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যার জেরে উত্তরোত্তর খরচ বেড়ে চলেছে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে। তথ্য বলছে বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবসা বেড়েছে ৪০ শতাংশ।
নবান্ন সূত্রে খবর, গত ১০ অগাস্ট থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে খরচ হয়েছে প্রায় ৩১৫ কোটি টাকা। রিপোর্টে বলছে, সাধারণ সময়ের তুলনায় যা প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা বেশি। যেই পরিসংখ্যান চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। তথ্য অনুযায়ী, অগস্ট থেকে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে আউটডোর পরিষেবা বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। রোগী ভর্তির পরিমাণ থেকে অস্ত্রোপচার সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেক হয়েছে।
আরও পড়ুন:আজ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টি! হলুদ সতর্কতা এই ৪ জেলায়, কবে কমবে দাপট? আবহাওয়ার খবর
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১০ অগস্ট থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রত্যেকদিন গড়ে ৭ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প খাতে খরচ করেছে রাজ্য। আর এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই রীতিমতো ঘুম উড়েছে রাজ্য সরকারের। প্রসঙ্গত, নিজেদের দশ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় টানা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অনশনের জেরে একের পর এক ডাক্তার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তবে তাতে অনশন থামছে না।