বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার মহা বিপাকে পড়লেন মুকেশ আম্বানি। হঠাৎ করেই অনেকটা ব্যবসা কমে গিয়েছে জিওর। এক সময় বিপুল পরিমাণ গ্রাহক রিলায়েন্স জিও (Jio) নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছিলেন। সেই সকল গ্রাহকরা অনেকেই জিও ছেড়ে মুখ ফিরিয়েছেন অন্যদিকে। তাতেই মহা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে রিলায়েন্স জিওকে।
শনি নাচছে Jio’র কপালে
কিন্তু কতসংখ্যক গ্রাহক জিওর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন, তা শুনলে চোখ কপালে উঠবে। ইতিমধ্যে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গিয়েছে টেলিকম দুনিয়ায়। স্বাভাবিকভাবেই এখন অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, হঠাৎ করে এতজন গ্রাহক জিও ছেড়ে চলে যাওয়ার ফলে কি তা কোনভাবে কোম্পানির জন্য উদ্বেগজনক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে?
যদিও সমালোচকরা বলছেন, না। যখন কোন কোম্পানির শুল্কের কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসে, তখন সেই কোম্পানির সঙ্গ ছাড়ে ইউজাররা। এটাই এতদিন ধরে স্বাভাবিক প্রবণতা। সম্প্রতি রিচার্জ প্ল্যানের শুল্ক বাড়িয়েছে রিলায়েন্স জিও। তার জেরেই রিলায়েন্স জিও (Jio) থেকে বেরিয়ে এসেছেন প্রায় এক কোটি নয় লক্ষ গ্রাহক।
আরোও পড়ুন : আর দেখা যাবে না অক্ষয় কুমারের এই বিজ্ঞাপন! ৬ বছর পর বড় সিদ্ধান্ত নিল সেন্সর বোর্ড
ইতিমধ্যেই ফাইভ-জি পরিষেবা চালু করেছে এই বেসরকারি টেলিকম সংস্থা। ঠিক তারপর থেকেই রিলায়েন্স জিওর (Jio) কানেকশন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন বহু সংখ্যক গ্রাহক। কিন্তু এবার প্রায় এক কোটি কিংবা ২ কোটি নয়। একেবারে নয় কোটি গ্রাহক রিলায়েন্স জিও ছেড়ে দিয়েছেন বলে খবর।
এই প্রসঙ্গে রিলায়েন্স জিও জানিয়েছে, ইউজার বেস পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন ছিল সংস্থাটি। হঠাৎ করে এত গ্রাহকের জিও (Jio) থেকে মুখ ফেরানোই বিশাল উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব ফেলবে না জিওর উপর। কোম্পানি জানিয়েছে, গ্রাহকদের সেরা ফাইভ জি নেটওয়ার্ক প্রদান করাই হলো তাদের মূল লক্ষ্য।
শুধু তাই নয়, ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস (এফডব্লিউএ) পরিষেবার মাধ্যমে বেশ কয়েকটা বাড়ি সংযুক্ত করে ইউজার্ড উপকৃত। জিও জানিয়েছে, এইসব গ্রাহকদের হারানোয় তাদের ব্যবসার উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে অন্যান্য টেলিকম অপারেটরদের জন্য এটা একটা ভালো সুযোগ তৈরি করবে।