‘২-৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখবেন না’! ফের জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মমতা! কবে কোথায়?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার সিনিয়রদের সঙ্গে বৈঠকের পর সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবার দুপুরে দেখা গেল ধর্মতলার অনশন মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। এরপর মুখ্যসচিবের ফোনে কথা বলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন থেকে সরে আসার অনুরোধ করার পাশাপাশি ফের বৈঠকের কথা বলেন তিনি।

• ফের জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)

এদিন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘আমি দিদি হিসেবে বলছি। আন্দোলন থেকে সরে এস। কাজে যোগ দাও’। আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে দশ দফা দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আজ সেই দাবিগুলি শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ দেবাশিস হালদার মমতাকে (Mamata Banerjee) বলেন, ‘আপনি যে সকল দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলছেন, সেটা লিখিতভাবে জানান। একটা ভুল ধারণা হয়েছে যে আমরা শুধুমাত্র ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এই অনশন করছি। এমনটা নয়’।

আরও পড়ুনঃ সরকারি কর্মীদের পোয়া বারো! দীপাবলি উপলক্ষ্যে লম্বা ছুটি! কবে কবে বন্ধ অফিস কাছারি?

জানা যাচ্ছে, এদিন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলতে চান। সেই কথায় রাজি হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রথমে মঙ্গলবার সময় দেওয়ার কথা বলেছিলেন বলে খবর। তবে জুনিয়র ডাক্তাররা রাজি না হওয়ায় আগামী সোমবার নবান্নে (Nabanna) বৈঠকের কথা স্থির করা হয়।

সোমবার বিকেল ৫টায় জুনিয়র চিকিৎসকদের সময় দিয়েছেন মমতা। জানা যাচ্ছে, নিজের কিছু কর্মসূচি বাতিল করে পরশুদিন এই বৈঠকে বসবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পাঁচটা মানে কিন্তু পাঁচটাই। আমায় দুই-তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখবেন না। আমার অনেক কাজ আছে’।

এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, ‘আপনাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তায় আছি। আপনাদের শুভ কামনা করছি। যতটা পারব, সাধ্যমতো সহযোগিতা করব। আন্দোলন করা আপনাদের অধিকার। পাঁচটা দাবির মধ্যে চারটে মেনে নেওয়া হয়েছে। একটি দপ্তর থেকে যদি সবাইকে একসঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে দপ্তর চলতে পারে না। সরকারেরও কিছু ব্যাপার রয়েছে’।