বাংলা হান্ট ডেস্ক : এই পৃথিবী হচ্ছে আজব একটি গোলক ধাঁধা। কোথায় কি লুকিয়ে রয়েছে তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। তবে মাঝে মধ্যে এই গোলক ধাঁধা থেকে এমন কিছু শহর কিংবা গ্রামের (Village) খোঁজ মেলে যা দেখে তাক লেগে যায় সকলের। আর এবার পাওয়া গেলো আস্ত এক স্বপ্নপুরীর খোঁজ। দেখলেই মনে হবে, এ যেনো রূপকথার গ্রাম (Village)। হ্যাঁ বিশ্বাস না হলেও এবার পৃথিবীর অন্দর থেকে বেরিয়ে এলো এই স্বপ্ন পুরীর (Village) হদিশ। ইতিমধ্যেই মাটির নিচে গড়ে ওঠা এই গ্রামের (Village) খোঁজ শুনে মানুষের মনে তৈরি হয়েছে এক বিরাট উন্মাদনা। কিন্তু এখন প্রশ্ন কোথায় রয়েছে এই স্বপ্নপুরী (Village) ? ভারতে নাকি ভারতের বাইরে?
পৃথিবীর নিচে রয়েছে আস্ত একটা গ্রাম (Village) :
পৃথিবীর নিচেও যে গ্রাম রয়েছে শুনতে অবাক লাগলো তাই না। কিন্তু ভারত থেকে বহুদূরে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়া। সেখানেই রয়েছে এই গ্রাম বা বলা চলে একটি শহর। যার নাম কুবের পেডি। এই শহরের সকলেই বাস করেন মাটির নিচে। আর পাঁচটি আধুনিক শহরের মতোই এই শহর কুবের পেডি। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড থেকে প্রায় ৮৪৬ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই শহর। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে সাড়ে তিন হাজার মানুষ বসবাস করেন।
কিভাবে জন্ম নিল মাটির নিচে এই শহর?
জানা গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার এই কুবের পেডি শহরের জন্ম ১৯১৫ সালে। মাটির নিচের অবস্থানের অন্যতম কারণ হচ্ছে এই শহরটি বহুমূল্য রত্নের খনি। ওপাল নামের একটি বিশিষ্ট রত্ন আছে যার ৯৫ শতাংশ পাওয়া যায় এই শহর থেকে। বাইরে থেকে এই শহরটিকে যে কেউ দেখলেই অবাক হয়ে যাবেন। কারণ এত বড় শহরে জনমানব প্রায় শূন্যই বলা চলে। শুধু তাই নয় শহরের আশেপাশে শুধু গুহা ছাড়া আর কিছু চোখে পড়বে না। আর ঠিক এই গুহাগুলি থেকেই নেমে গিয়েছে সুরঙ্গের সিঁড়ি। এই সিঁড়ি ধরে নামতে থাকলেই পেয়ে যাবেন সেই স্বপ্নপুরীর হদিশ।
আরও পড়ুন : সোনা যেন আগুনের গলা! ধনতেরাসের আগে আরও দামি হলুদ ধাতু, কলকাতায় কত?
জানা গিয়েছে, মাটির নিচে প্রবেশ করলেই দেখতে পাবেন চারিদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ। কোলাহলপূর্ণ একটি শহর। শুধু তাই নয় একই সাথে এই শহর সাজানো উচ্চপ্রযুক্তির সরঞ্জাম দিয়ে। এছাড়াও রয়েছে অনেক দামি দামি হোটেল, রেস্তোরাও। এটি যে মাটির নিচে শহর দেখলে কিন্তু মনেই হবে না। দেখলে লাগবে এ যেনো একটি স্মার্ট সিটি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন মাটির নিচে এই শহর?
এর উত্তর জানতে হলে আপনাকে জানতে হবে বেশ কয়েক বছর আগের কথা। অস্ট্রেলিয়ার তখন একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চলছে গ্রীষ্মের ইনিংস। সেই সময় কুবের পেডিতে তাপমাত্রা পার করে যায় ৪০ ডিগ্রির উপরে। আর স্বাভাবিকভাবেই তাপমাত্রায় মানুষের বাঁচা দায়ের হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত সূর্যের রোদ গায়ে জ্বালাপোড়া শুরু করে। এরপরই বাসিন্দারা ঠিক করেন মাটির নিচে বসবাস করার। এতে করে গরমের তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচা যাবে। ফলে মাটির নিচে বসতি গড়ে সেখানেই পাকাপাকিভাবে থাকার বন্দোবস্ত করে নেন এখানকার বাসিন্দারা। আর সেই থেকেই কুবের পেডিতে মাটির নিচে বসবাস শুরু। যা আজও বহমান।