বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুজোয় রাজ্যে বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক পশলা বৃষ্টি হলেও, তেমন ঝেঁপে বর্ষণ হয়নি। মোটামুটি শুকনো আবহাওয়ার মধ্যেই পুজো কেটেছে রাজ্যবাসীর। তবে দীপাবলির আগেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana)। এর প্রভাবে আগামী বুধবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা যাবে বলে খবর।
আয়লার গতিবেগেই আছড়ে পড়বে ‘দানা’ (Cyclone Dana)!
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ওড়িশা এবং বাংলার উপকূলে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এই সাইক্লোন ওড়িশা-বাংলার কাছাকাছি পৌঁছবে বলে খবর। তবে আবহাওয়ার পরিবর্তন বুধবার থেকেই চোখে পড়বে। উপকূল অঞ্চলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া (Weather Update) থাকবে। তবে ঝড় কোথায় আছড়ে পড়বে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানা যাচ্ছে।
আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০০৯ সালে আয়লা ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিমি। ‘দানা’র (Cyclone Dana) গতিবেগও তার আশেপাশে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ফুঁসে উঠবে সমুদ্র। যে কারণে মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জেরার জন্য ডেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা নয়! তদন্তকারীদের জন্য কড়া নির্দেশিকা জারি ED-র
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে শুনেই চিন্তায় পড়েছেন উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ। ফের একবার সবকিছু তছনছ হয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় ভুগতে শুরু করেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই সুন্দরবন উপকূলে বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সাগর, নামখানা, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি অঞ্চলে মাইক নিয়ে এই বিষয়ে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন। জানা যাচ্ছে, কাকদ্বীপ মহকুমার পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগর এবং নামখানা ব্লকে সাইক্লোন (Cyclone) সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
যে সকল ব্যক্তিরা বাঁধের কাছে থাকেন, তাঁদের আস্তে আস্তে বাড়ি থেকে দরকারি সামগ্রী গুছিয়ে উঁচু এলাকা অথবা সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাকদ্বীপ মহকুমার শাসকের দফতরে ইতিমধ্যেই ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোলরুম খুলে দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গেই এই দুর্যোগ (Cyclone Dana) মোকাবিলা করার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং সিভিল ডিফেন্সকে সতর্ক করে দেওয়ার পাশাপাশি সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখার কথাও বলা হয়েছে। এছাড়াও পঞ্চায়েত, ব্লক প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, সেচ দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা বাঁধের ওপর নজরদারি চালাবে। যদি কোনও বাঁধে কোনও সমস্যা দেখা যায়, তাহলে তা দ্রুত মেরামত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সেচ দফতর।