বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৯ আগস্ট। আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Case) চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এবার এই মামলাতেই সামনে আসছে বড় খবর!
৯ আগস্ট সেমিনার হলে আন্দোলনকারীদের একাংশ (RG Kar Case)!
জানা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের (CBI) হাতে একজন পুলিশ অফিসারের তোলা একটি ভিডিও এবং একটি জেনারেল ডায়েরির পাতা এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, পুলিশ পৌঁছনোর আগেই ঘটনাস্থলে ঘোরাফেরা করছেন কয়েকজন ডাক্তারি পড়ুয়া। তাঁদের একটি অংশ আন্দোলনে যোগ দিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এমন তথ্যও এসেছে বলে খবর।
রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছে সিবিআই। আন্দোলনকারী ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীরা যেখানে আরজি করের (RG Kar Case) ঘটনাস্থল থেকে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সরব, সেখানে তাঁদের একাংশের সেমিনার হলে ঘোরাঘুরি নিয়ে ইতিমধ্যেই নানান মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ পৌঁছনোর আগে সেখানে তাঁরা কী করছিলেন? দেখা দিয়েছে সেই প্রশ্ন। জানা যাচ্ছে, ঘটনাস্থল তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য ওই ডাক্তারি শিক্ষার্থীদের কোনও ভূমিকা রয়েছে কিনা সেটা সিবিআই খতিয়ে দেখতে পারে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ জেল থেকে বেরনোর পর এই প্রথম! আজ এই ‘হেভিওয়েটের সঙ্গে এক মঞ্চে কেষ্ট … তোলপাড়
কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ৯ আগস্ট সকাল ৯:৩০ নাগাদ একজন ডাক্তারি পড়ুয়া সেমিনার হলে আরজি করের (RG Kar Hospital) নির্যাতিতার মৃতদেহ দেখতে পান। তাঁর থেকে শুনে কয়েকজন ডাক্তার এবং ডাক্তারি পড়ুয়া সেখানে যান। একইসঙ্গে খবর যায় আরজি করের পুলিশ ফাঁড়িতে। সেখান থেকে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ড সাব ইনস্পেক্টর র্যাঙ্কের আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেন। এসে দেখতে পান, অন্তত জনা পনেরো ডাক্তারি পড়ুয়া সেখানে আছেন। তাঁরা মৃতদেহ ঘিরে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে নিজের মোবাইল ফোনে ভিডিও রেকর্ড করে নেন ওই পুলিশ আধিকারিক।
জানা যাচ্ছে, ওই ফুটেজে সিবিআই দেখেছে, সেমিনার হলের এক দিকে থানা স্টেজের ওপর নির্যাতিতার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে (RG Kar Case)। সেই স্টেজের ওপর, আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রায় জনা পনেরো মানুষ। কেউ কেউ আবার মৃতদেহের কাছেও ঘোরাঘুরি করছিলেন বলে দেখা দিয়েছে। ছবি, ভিডিও তুলতেও দেখা গিয়েছিল বলে খবর।
যে পুলিশ আধিকারিক ওই ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন, তাঁকে সিবিআই তলব করে। তিনি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে জানা, একসঙ্গে এথন ব্যক্তি ঘটনাস্থলে থাকায় এতজনের হাত-পায়ের ছাপের মধ্যে আসল অভিযুক্তের পায়ের ও আঙুলের ছাপ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে তখন অবধি থানায় খবর না যাওয়ায় তিনি একা ওই চিকিৎসক পড়ুয়াদের বারণ করতে পারতেন না। তাই সম্পূর্ণ ঘটনার ভিডিও তুলে রাখেন।
একইসঙ্গে এই বিষয়ে আরজি করের (RG Kar Case) পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে জিডি-তে নথিভুক্ত করেন। পুলিশ আধিকারিকের রেকর্ড করা ভিডিও এবং জিডি পড়ার পর সিবিআইয়ের অভিমত, সেদিক সকাল ৯:৩০ থেকে ১০:১৫ অবধি যারা ঘটনাস্থলে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ঘুরছিল তাঁরা সকলেই নির্যাতিতার সতীর্থ। তাঁদের একটি অংশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। এবার এই ধর্ষণ খুনের ঘটনায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের ক্ষেত্রে এই আন্দোলনকারী ডাক্তারদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই।