বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে উপাচার্য নিয়োগ (West Bengal VC recruitment Case) নিয়ে বহুদিন ধরেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। ঘটনার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্ত। সেই মামলাতেই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পক্ষে বড় নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত। মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের তালিকাই যাবে আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছে। এদিন জানিয়ে দিল বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ।
মমতার পক্ষে রায় শীর্ষ আদালতের…
এদিন সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠলে দুই বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, নতুন করে এই প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করলে উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দেরি হবে। এর আগে এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, শীর্ষ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাছাই করা হবে।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ললিতের নেতৃত্বাধীন সার্চ কমিটি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদের জন্য তিনটি করে নাম বাছাই করবে। এরপর সেই তিন নাম যাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। মুখ্যমন্ত্রী ওই তিন নামের মধ্যে পছন্দের ভিত্তিতে একটি তালিকা তৈরি করবেন। যাকে বেশি পছন্দ, তাকে প্রথমে রাখবেন। কোনো নাম নিয়ে আপত্তি থাকলে সেটাও জানাবেন। এরপর সেই তালিকা যাবে রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে। এরপর সেই ভিত্তিতে উপাচার্য (West Bengal VC recruitment Case) নিয়োগ করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্যপাল।
তবে সম্প্রতি রাজ্যপাল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কিছু সংশোধন চেয়ে ফের আবেদন জানান। যাতে ললিত কমিটিই পছন্দের ক্রম অনুযায়ী তালিকা মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠায় সেই আরজি জানানো হয়েছিল রাজ্যপাল তরফে। গত ৩ অক্টোবর এই আবেদন সুপ্রিম কোর্ট মেনে নিলেও এদিন রাজ্য সরকারের আইনজীবী রাজ্যপালের আবেদনে আপত্তি তোলেন।
আদালতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ইতিমধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। নামও প্রকাশ হয়েছে। এক্ষেত্রে যদি মুখ্যমন্ত্রী ও আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালের মধ্যে মতভেদ হয় তাহলে ফের সেই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে ফেরত আসবে। শোন্ শুনে এদিন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, আপাতত আগের নির্দেশই বহাল থাকছে।
অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীই তিন নামের মধ্যে পছন্দের ভিত্তিতে একটি তালিকা তৈরি করবেন। এই বিষয়ে বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া বলেন, এখন যদি বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা হয় তাহলে গোটা প্রক্রিয়ায় দেরি হয়ে যাবে। তবে রাজ্যপালের আর্জিও খারিজ করা হয়নি। কমিটির সুপারিশ নিয়ে কখনও মুখ্যমন্ত্রী, আচার্যের মধ্যে মতভেদ দেখা দিলে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবে বলে জানানো হয়েছে।