বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ খুনের ঘটনার পরেই শিরোনামে উঠে এসেছে হাসপাতালে হওয়া দুর্নীতির অভিযোগ (RG Kar Case)। সন্দীপ ঘোষের জমানায় আরজি কর কার্যত দুর্নীতি আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এবার এই ঘটনাতেই বিরাট দাবি করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
আরজি কর দুর্নীতি মামলায় (RG Kar Case) কী দাবি করল সিবিআই?
আর্থিক দুর্নীতির এই মামলায় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দেহরক্ষী আফসার আলি এবং সন্দীপ (Sandip Ghosh) ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত দুই ভেন্ডর সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিংহকে।
এবার এই মামলাতেই সিবিআই (CBI) দাবি করল, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের সঙ্গে সেখানকারই প্রাক্তন হাউস স্টাফ আশিস পাণ্ডের আঁতাত ছিল। দু’জনের মধ্যে অর্থনৈতিক লেনদেনও হয়েছিল। এই বিষয়ে আরও তথ্য হাতে আসতে পারে। আরজি কর দুর্নীতি মামলার তদন্ত এখন ‘ক্রিটিক্যাল পজিশনে’ রয়েছে বলে সোমবার আদালতে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুনঃ এক পয়সাও লাগবে না! বিনামূল্যে মিলবে চাকরির প্রশিক্ষণ! দুর্দান্ত প্রকল্প রাজ্যের
রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্দীপদের বিরুদ্ধে আরজি করে (RG Kar Hospital) টেন্ডার দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। সিবিআইয়ের দাবি, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের হয়ে কাজ করতেন ধৃত আশিস। ইতিমধ্যেই দু’জনের আঁতাতের সূত্র মিলেছে বলে খবর। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, তাঁরা আর্থিক লেনদেনে জড়িত।
এদিন আলিপুর কোর্টের বিচারক সৌভিক দে-র এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। পুজোর ছুটির জন্য রেগুলার আদালতে এই মামলা ওঠেনি। এর বদলে আলিপুর পুলিশ কোর্টের সিজিএম বিচারক আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলা (RG Kar Case) শোনেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফ থেকে জামিন নাকচ করে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। আগামী ৪ নভেম্বর অবধি পাঁচ অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।