বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি মাসেই ভারতের শিল্প ক্ষেত্রে ঘটে যায় অপূরণীয় ক্ষতি। প্রয়াত হন দেশের জনদরদী এবং অমায়িক শিল্পপতি রতন টাটা (Ratan Tata)। ভারত থেকে শুরু করে গোটা বিশ্বে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর হাত ধরেই ভারতের শিল্প ব্যবস্থা এক আলাদা জায়গায় পৌঁছেছে। তবে, তিনি শুধু বড় বড় কংক্রিটের শিল্পস্থানই গড়েননি, একই সাথে তৈরি করেছেন একের পর এক কর্মসংস্থানের উৎস। তাঁর হাত ধরে আজ অনেক বিদেশি কোম্পানি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ভারতে। তবে, রতন টাটার কৃতিত্ব এখানেই থেমে নেই। মধ্যবিত্তদের জন্য তিনি এনেছেন চারচাকা। কিন্তু, এত কিছুর পরেও তাঁর একটি স্বপ্ন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আর সেটি হচ্ছে টাটা ন্যানোর ইলেট্রিক ভার্সন।
রতন টাটার (Ratan Tata) স্বপ্নের গাড়ি:
সকলেই জানেন, মধ্যবিত্তদের চারচাকার স্বপ্ন পূরণ করতে রতন টাটা (Ratan Tata) বাজারে আনেন টাটা ন্যানো। আর এই গাড়ি মধ্যবিত্তদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। তবে, শুধু মধ্যবিত্ত নয় সব বিত্তের মানুষরাই টাটা ন্যানো পছন্দ করেছিলেন। তার কারণ হচ্ছে প্রথমত এটি সকলের বাজেটের আয়ত্তের।অধ্যে ছিল। দ্বিতীয়ত, টাটা ন্যানোর কম্প্যাক্ট সাইজ যথেষ্ট ভালো এবং তৃতীয়ত ফুয়েল এফিশিয়েন্সি। তবে, একসময় বাজারে এই গাড়ির বেশ চল থাকলেও বর্তমানে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, বাজারে বন্ধ হয়ে গেলেও টাটা ন্যানোর সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি এখনও কিনতে পারবেন। যদিও, বাজারে টাটা ন্যানোর নাম পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে বলেই খবর।
তবে, শুধু নামেই নয় একই সাথে গাড়ির ফিচার্স থেকে শুরু করে ইঞ্জিন সর্বত্রই পরিবর্তন আনা হয়েছে। জানা যায়, টাটা ন্যানোর ইঞ্জিন পরিবর্তন হয়ে এখন ব্যাটারির সিস্টেম শুরু করা হয়েছে। আর নাম হয়েছে Jayem Neo। আসলে এই গাড়ি বৈদ্যুতিক হয়ে যাওয়ার কারণেই এমন নামকরণ। তথ্যসূত্রে জানা যায়, তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে Jayem Automotives-এর এই গাড়ি তৈরি করার কথা ছিল। আর সেই কথা মত, ৪০০টি গাড়ি বাজারেও আসে। গণমাধ্যম মারফত জানা যায়, মূলত Ola-র জন্য ২০১৮ সালে ৪০০ টি Jayem Neo বানিয়েছিল ওই সংস্থা। কিন্তু পরবর্তীতে তা বাজারে আসতে গিয়েও আটকে যায়। কারণ কোভিড অতিমারী এবং নতুন ক্র্যাশ নিয়মের জেরে তা বাজারে আসার আগেই আটকে যায়।
আরও পড়ুন: আর নয় বিবাদ! লাদাখে LAC নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে মিটল বিরোধ, সামনে এল বড় আপডেট
এই Jayem Neo-র দাম কি টাটা ন্যানোর থেকে বেশি: জানিয়ে রাখি যে, এই গাড়িতে রয়েছে বিশেষ কিছু ফিচার্স। সেগুলি হচ্ছে, গাড়িতে রয়েছে ঘণ্টা প্রতি ১৭ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি প্যাক। এছাড়াও এতে রয়েছে একটি বৈদ্যুতিক মোটর, যেটি সব মিলিয়ে ২৭ হর্সপাওয়ার এবং ৬৮ এনএম টর্ক তৈরি করতে সক্ষম। তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুল চার্জ থাকলে এই গাড়িটি ১৩০ কিলোমিটার অবধি দৌড়তে পারবে।
আরও পড়ুন: বিড়লাকে হারিয়ে বাজিমাত করলেন আদানি! ৮,১০০ কোটি টাকায় কিনবেন এই কোম্পানি
সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির বাজারে Jayem Neo-র দাম ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। এখন ভাবছেন সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির দাম এত বেশি কি করে হতে পারে? তাহলে বাজারে লক্ষ্য করলে দেখবেন এই ধরণের যতরকমের ইলেকট্রিক যানবাহণ রয়েছে, তার থেকে অনেকটাই কম দাম Jayem Neo-র।