বাংলা হান্ট ডেস্ক : কথায় আছে শিল্পীর মৃত্যু নেই,তাঁরা জীবিত থাকেন তাঁদের কাজের মধ্যে দিয়েই। একই কথা খাটে অভিনেতা তাপস পালের (Tapas Paul) ক্ষেত্রেও। দেখতে দেখতে চার বছর হয়ে গেল আজ আর তিনি আমাদের মধ্যে নেই। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দর্শকদের প্রিয় এই অভিনেতা (Tapas Paul)।
জয়া বচ্চনের জন্য নায়ক হন তাপস পাল (Tapas Paul)
কিন্তু মৃত্যুর পরেও আজও নানা প্রসঙ্গে উঠে আসে তাঁর (Tapas Paul) কথা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে নায়কের বহুদিনের পুরনো এক সাক্ষাৎকার। সেখানে সঞ্চালকের আসনে দেখা যাচ্ছে চৈতালি দাশগুপ্তকে। তখনও পর্যন্ত তাপস পালের (Tapas Paul) নামের সাথে যুক্ত হয়নি বিতর্ক শব্দটা। প্রসঙ্গত অভিনেতা হিসেবে তাপস পাল যতটা খ্যাতি অর্জন করেছিলেন রাজনীতিতে আসার পরেই একের পর এক বেফাঁস মন্তব্যের জেরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন অভিনেতা।
তাই রাজনীতির অধ্যায়টুকু বাদ দিলে অনভিনেতা তাপস পালের খ্যাতি কিন্তু আজও কমেনি। পুরনো ওই সাক্ষাৎকারে দেখা যাচ্ছে অতীতের কথা বলতে গিয়ে মুহূর্তের মধ্যে অভিনেতা যেন ফিরে গিয়েছিলেন নিজের হারানো ছোটবেলার দিন গুলোতে। অভিনেতা এদিন নিজের মুখে শুনিয়েছিলেন তাঁর নায়ক হওয়ার অনুপ্রেরণার কথা।
আরও পড়ুন : কিশোর কুমার আসতেই ভক্তরাও ভুলে গেলেন,’আমি কি খারাপ গায়ক হয়ে গিয়েছি’? আফসোস শিল্পীর
তাপস পাল আদতে চন্দননগরের বাসিন্দা হলেও তাঁর জীবনের বেশ কিছু দিন কেটেছিল দিল্লিতে। আসলে রাজধানী দিল্লিতে ছিল। তাপস পালের মাসির বাড়ি। তাই ওখানে পড়াশোনার জন্য বেশ কয়েক বছর কাটিয়েছিলেন অভিনেতা। সেখানেই নাকি একবার তাপস পালের সাথে পরিচয় হয়েছিল অভিনেত্রী জয়া বচ্চনের দাদুর সাথে।
সেই পরিচয় সম্পর্কেই সাক্ষাৎকারে তাপস পাল জানিয়েছিলেন, ‘এখন সবাই জয়াদিদিকে অন্যভাবে চেনেন। কিন্তু উনি তো আমার দিদি।’ অভিনেতা জানান দিল্লিতে তাঁর মাসির বাড়ি যেখানে ছিল তার বিপরীতেই ছিল জয়া বচ্চনের ঠাকুরদার বাড়ি।’ অভিনেতার কথায়, ‘আমাদের ওখানে একটা ঘাটাল ছিল। সেখানে প্রতিদিন দুধ আনতে যেতাম। তখন অনেকবার জিজ্ঞেস করতাম জয়া দিদি কেমন আছেন? পুনে ইনস্টিটিউটে কী ভাবে ভর্তি হলেন?’ তাপস পাল সেই থেকেই তাঁর মধ্যে নায়ক হওয়ার প্রবণতা তৈরী হতে শুরু করে।